#দিঘা ও বকখালি: ঘূর্ণাবর্তের জেরে আজ এবং আগামিকাল ২৯ সেপ্টেম্বর কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস (Weather Forecast Bengal) দিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। সেই মতোই সোমবার রাত থেকে উপকূলের জেলাগুলিতে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কায় মৎসজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। কোন জেলায় কত বৃষ্টি হতে পারে, সেই তার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের একাধিক জেলায় লাল, কমলা এবং হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই তৎপর রয়েছে পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা প্রশাসন। সাগরে ও বকখালিতে বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে মোতায়েন করা হয়েছে। সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলে মাইকিং চলছে। সোমবার গভীর রাত থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগণার একাধিক এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সকাল থেকে আকাশ কালো মেঘে ঢাকা।মঙ্গলবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে সুন্দরবন উপকূলে।
সোমবার রাতেই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাগর, নামখানা, পাথরপ্রতিমা, এলাকার হাজারের বেশী মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগণা সাগরে ও বকখালিতে বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে মোতায়েন করা হয়েছে। কাকদ্বীপ মহকুমায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সেচ, বিদ্যুৎ, পূর্ত দফতরের আধিকারিক ও কর্মীরা মোতায়েন রয়েছেন। শুকনো খাবার, ত্রাণ, পানীয় জলের পাউচ মজুত করা হয়েছে। জলবন্দি হয়ে পড়লে দ্রুত উদ্ধারের জন্য স্পিড বোট, ভেসেল প্রস্তত রাখা আছে।
আরও পড়ুন: পুজোর সময় পাহাড়ে যেতে চান? রইল নতুন ৫ Hill Station-র হদিশ...
সুন্দরবনের সবকটি ব্লকের ওপর বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। মৎস্যজীবীদের কোনওভাবেই নদীতে না নামার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ দিন সকালে অতিরিক্ত জেলাশাসক নীতিশ ঢালি ও সাগরের বিডিও সুদীপ্ত মণ্ডল গঙ্গাসাগর এলাকায় কাঁচা বাড়ির বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার জন্য বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যদের নিয়ে মাইকিং করেন। বিডিও সুদীপ্ত মণ্ডল বলেন, 'প্রশাসন সতর্ক আছে। গতকাল থেকে নীচু এলাকা থেকে মানুষকে তুলে আনার কাজ শুরু হয়েছে।'
আরও পড়ুন: করোনার জেরে এ বারেও লকার বন্দি জয়পুর রাজবাড়ির 'সোনার দুর্গা', মন খারাপ পুরুলিয়ার
এ দিকে, দিঘা-মন্দারমনি-তাজপুর সমুদ্র সৈকতে নুলিয়া, পুলিশ বাহিনী এবং সিভিক ভলেন্টিয়ারদের তৎপরতা। তারই মধ্যে উৎসাহী পর্যটকরা উঁকিঝুঁকি মারছেন সমুদ্র পাড়ে দাঁড়িয়ে। যারা বেড়াতে গিয়েছেন, সমুদ্রে নামতে না পেরে হতাশ সকলেই। পুলিশের নির্দেশ মেনে কাউকে কাউকে হোটেল ছাড়তে হয়েছে। কেউ কেউ আবার নিয়ম ভেঙে হোটেলে থেকেও গিয়েছেন। এ সবের মধ্যেই দিঘা, মান্দারমনি, তাজপুর, শংকরপুর-সহ সমুদ্র এবং নদী তীরবর্তী সব এলাকাতেই রয়েছে নজিরবিহীন প্রশাসনিক তৎপরতা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Weather Forecast, Weather Update