হোম /খবর /দক্ষিণবঙ্গ /
মোবাইলের সূত্র ধরে গুজরাতে পাড়ি বীরভূম পুলিশের, উদ্ধার নলহাটির তরুণী!

West Bengal Police: মোবাইলের সূত্র ধরে গুজরাতে পাড়ি বীরভূম পুলিশের, উদ্ধার নলহাটির তরুণী!

অসাধারণ সাফল্য পুলিশের

অসাধারণ সাফল্য পুলিশের

West Bengal Police: চলতি বছরের মে মাসে গৃহবধূ শ্বশুর বাড়ি থেকে বাপের বাড়িতে আসে। ২৩ মে সকালে নলহাটিতে বাজার করতে যাওয়ার নামে গৃহবধূ বেরিয়ে যায়। আর ফেরেনি।

  • Share this:

বীরভূম: সাফল্য বীরভূম জেলা পুলিশের। বীরভূমের নলহাটি থানার  তৎপরতায় গুজরাত সুরাট থেকে উদ্ধার হল নলহাটির গৃহবধূ।  বীরভূমের নলহাটি থানার পাইকপাড়া গ্রামের এক তরুনীর সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় নেপালের জলেশ্বর থানার হালখোরি গ্রামের যুবক রাকেশ কুমার পাণ্ডের। ফেসবুকের কথা বলা পরিণতি পায় প্রেমে। তাঁদের মধ্যে গভীর ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রাকেশের সাথে প্রেম চলাকালীনই বছর দেড়েক পরে নলহাটি থানারই লোহাপুর সংলগ্ন বারা গ্রামে ওই তরুণীর বিয়ে হয় এক কৃষক পরিবারে। বিয়ের পরও ফেসবুকের রাকেশের সঙ্গে ভালবাসার সম্পর্ক বজায় রেখেছিল গৃহবধূ।

চলতি বছরের মে মাসে গৃহবধূ শ্বশুর বাড়ি থেকে বাপের বাড়িতে আসে। ২৩ মে সকালে নলহাটিতে বাজার করতে যাওয়ার নামে গৃহবধূ বেরিয়ে যায়। তারপর আর বাড়ি ফেরেনি। পরিবারের পক্ষ থেকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে নলহাটি থানায় নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করে। নেপালের যুবক নিজেকে একটি হোটেলের ম্যানেজার পরিচয় দিয়ে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল ওই মহিলার সাথে। পুলিশ তদন্ত চালিয়ে জানতে পারে যুবকটি ওই নেপালের একটি হোটেলের সাফাই কর্মী। মাসখানেক পর ওই যুবক গৃহবধূর পরিবারকে ফোনে জানায় ছয় লক্ষ টাকা মুক্তিপণ না দিলে তাদের মেয়েকে বিক্রি করে দেবে। এই ফোন পেয়ে ভেঙে পড়েন গৃহবধূর পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা মোবাইলের ভয়েস রেকর্ড সহ নম্বর পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

এরপরেই জেলা পুলিশের তৎপরতায় জরুরিভিত্তিক অপারেশন চালিয়ে পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীর নির্দেশে মোবাইলের সূত্র ধরে নলহাটি থানার পুলিশ বিমানে পাড়ি দেয় ওই যুবকের সন্ধানে। আর সেখানেই মেলে সাফল্য। মোবাইল লোকেশনের সূত্র ধরে গুজরাটের শচিন পুলিশ স্টেশন এলাকার একটি বস্তি থেকে গৃহবধূকে উদ্ধার করে পুলিশ। অভিযুক্ত যুবককে গুজরাটের সুরাট আদালতে তোলা হলে সে জামিনে মুক্তি পেয়ে যাওয়ায় যুবককে সুরাট থেকে আনা সম্ভব হয়নি।

অন্যদিকে বৃহস্পতিবার গৃহবধূকে রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হলে অতিরিক্ত মুখ্য দায়রা বিচারক পরাগ নিয়োগী বিচারক তাকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন বলে জানান সরকারি আইনজীবী সুরজিৎ সিনহা। এই ঘটনাই নতুন নয়,  এর আগেও বীরভূমে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। ফেসবুকে প্রথমে প্রেম তারপর অপহরন,  এই নিয়ে বীরভূম জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বার বার সতর্ক করেছে। বীরভূম জেলা পুলিশ বারবার প্রচার করছে ফেসবুক ব্যবহার করার আগে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির প্রোফাইল খতিয়ে দেখতে, কারণ অনেকেই এই ফেসবুকে নকল প্রোফাইল খুলে মানুষকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করছে।

Published by:Suman Biswas
First published:

Tags: West bengal Police