#কলকাতা: বাঁকুড়ায় কালপাথর এলাকায় শিশু পাচারকাণ্ডে তদন্তভার হাতে নিল সিআইডি। সিআইডি-র অ্যান্টি হিউমান ট্রাফিকিং ইউনিট (AHTU) তদন্তভার হাতে নিল। শুক্রবার সিআইডি একটি টিম যায় বাঁকুড়ার ঘটনাস্থলে ও বাঁকুড়া সদর পুলিশের সঙ্গে কথাও বলেন তাঁরা। সিআইডি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রতক্ষ্যদর্শীদের বয়ান রেকর্ড করে ও ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা বলেও সিআইডি সূত্রে খবর। এই ঘটনায় ধৃত বাঁকুড়ার কেন্দ্রীয় সরকারি স্কুল জহর নবোদয় বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল কমল কুমার রাজোরিয়া ও শিক্ষিকা সহ মোট ৯ জনকে এবার জেরা করবে সিআইডি।
সূত্রের খবর, শিশু পাচারের জাল কতদূর বিস্তৃত? কতজনকে শিশু বিক্রি করা হয়েছে? কতজনের থেকে কেনা হয়েছে শিশু? কোন হাসপাতালের সঙ্গে লেনদেন ছিল? এই সব প্রশ্নর উত্তর খুঁজবে সিআইডি আধিকারিকরা। গত রবিবার এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। দুটি শিশুকে জোর করে মারুতি ভ্যানে তোলার চেষ্টা করছিলেন জহর নবোদয় বিদ্যালয় অধ্যক্ষ কমল কুমার রাজোরিয়া। সেই সময় কেন্দ্রীয় সরকারি ওই বিদ্যালয়ের সামনে এলাকার মানুষের কাছে হাতে নাতে ধরে পড়ে যান তিনি। অধ্যক্ষ সে সময় কোন ক্রমে পালিয়ে গেলেও পরে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে ও বাকিদের গ্রেফতার করে। উদ্ধার হয় পাঁচ শিশু।
অভিযোগ, মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে শিশুদের কিনে নিয়ে রাজস্থান সহ বিভিন্ন জায়গাতে পাঠানো হত। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপুর মেন গেট ও কাদারোড থেকে এক লক্ষ ছিয়াত্তর হাজার টাকায় শিশুদেরকে কিনে রাজস্থান সহ বিভিন্ন জায়গা পাচারের পরিকল্পনা ছিল অভিযুক্তদের| তার বদলে শিশুর পরিবারকে লক্ষাধিক টাকাও দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। বাঁকুড়া সদর পুলিশের হাতে ধৃত ওই প্রিন্সিপাল কমল কুমার রাজোরিয়া কাদা রোড থেকে শিশুদের এনে, এক শিশু সন্তানকে তাঁরই স্কুলের এক নিঃসন্তান শিক্ষিকা সুষমা শর্মাকে বিক্রি করেছিলেন বলে জানতে পারে পুলিশ | অন্য দুই শিশুকন্যা কে রাজস্থানে বিক্রি করার উদ্দেশে ওই অধ্যক্ষ নিজের কোয়ার্টার এনে রেখেছিল। অভিযোগ, নিঃসন্তান দম্পতির কাছে মোটা অংকের টাকায় বিক্রির উদ্দেশেই এই চক্রের জাল বিছিয়েছিলেন জহর নবোদয় বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ কোমল কুমার রাজোরিয়া। এবার সেই শিশু পাচারের শিকড় কতদূর বিস্তৃত, তা জানার জন্য সিআইডি অ্যান্টি হিউমান ট্রাফিকিং ইউনিট তদন্তভার হাতে নিল এই ঘটনার |
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।