দক্ষিণবঙ্গ: গিয়েছিলেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। ফেরার পথে পূর্ব বর্ধমানে কৃষকদের সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যপাল। পূর্ব বর্ধমানের বড়শুলে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সমস্যা, অভাব অভিযোগের কথা শুনলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রাজ্যপাল নিজে গ্রামে এসে তাঁদের অভাব অভিযোগ সমস্যা জানতে চাওয়ায় খুশি কৃষকরা।
এদিন বর্ধমানের বড়শুলে কৃষি বিভাগের অফিসে পঁয়ত্রিশ-চল্লিশ জন কৃষকের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। কোন পদ্ধতিতে কী ভাবে চাষ হয় তা বোঝার চেষ্টা করেন। নিজেকেও কৃষক পরিবারের সদস্য বলে জানান তিনি। কৃষকদের সম্মান জানিয়ে বলেন, তাঁদের ছাড়া দেশ চলবে না। অর্গানিক ফার্মিং বা আরও উন্নত পদ্ধতিতে চাষ করতে চাইলে তাঁদের চেন্নাই বা হায়দরাবাদ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দেবেন বলেও আশ্বাস দেন রাজ্যপাল।
আরও পড়ুন: ২৩ একর জমির মালিক গোপাল! খুলতে চেয়েছিলেন বি এড কলেজও, কোথা থেকে আসত এত টাকা?
এদিন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সেখানেই জেলা প্রশাসনের কাছে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছেপ্রকাশ করেন তিনি। সেই মতো কলকাতা ফেরার পথে জাতীয় সড়কের ধারে কৃষকদের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের ব্যবস্থা করানো হয়।
আরও খবর: বড় খবর! Group D-এর ১, ৯১১ শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি SSC-র, দ্রুত নিয়োগের তোড়জোড়
তড়িঘড়ি বড়শুলে কৃষি দফতরের অফিসে নিয়ে যাওয়া হয় কৃষকদের। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে পৌঁছে যান রাজ্যপাল। এরপর বেশ কিছুক্ষণ কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। প্রথাগত চাষের বদলে বিকল্প চাষের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্বের প্রসঙ্গও ওঠে। অর্গানিক ফার্মিংয়ের বিষয়ের বিশেষ গুরুত্ব দেন রাজ্যপাল। এজন্য কৃষকরা চাইলে তিনি হায়দরাবাদ বা চেন্নাইয়ে প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্হা করবেন বলে কৃষকদের জানান রাজ্যপাল। রাজ্যপালকে এভাবে নিজেদের গ্রামে পেয়ে আপ্লুত রাজ্যে শস্য ভান্ডার হিসেবে পরিচিত পূর্ব বর্ধমান জেলার বড়শুলের কৃষকরা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।