#হুগলি: শুরু হয়েছে তৃতীয় দফার ভোট। সবে সাড়ে তিন ঘণ্টা অতিক্রান্ত।এরই মধ্যে ঘটনার ঘনঘটা। এই দফায় ৩১ আসনের মধ্যে আটটি আসন হুগলি। এরই মধ্যে এরমধ্যে এই আসনগুলির বেশ কয়েকটি বুথ থেকে ভোটারদের ভোটদানে বাধা দেওয়া, বুথ দখলের অভিযোগ আনছে তৃণমূল। অভিযোগের আঙুল প্রধান বিরোধী দল বিজেপির দিকে। অভিযোগের আঙুল উঠছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দিকেও।
অভিযোগগুলি এক নজরে দেখে নেওয়া যাক-
পুরশুরা
পুরশুরার ১০ এবং ১১ নং বুথে অভিযোগ সিআরপিএফ জওয়ানরা ভোটারদের বিজেপির হয়ে ভোট দিতে বলছে বলে অভিযোগ। বহু ভোটারকে দুঘণ্টা পর আসতে বলে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে।
আরামবাগ
২৫৭, ২৫৮, ২৫৯, ২৬০,২৬১,২৬২,২৬৭, ২৭০ নম্বর বুথে অভিযোগ রীতিমতো বুথের দখল নিয়েছে বিজেপি কর্মীরা। অভিযোগ উঠছে তৃণমূলের এজেন্টদের মারধর করে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়ার। আরামবাগের ২৯৩ নং বুথে গত রাতেই তৃণমূলের পোলিংকে মারধর করে বুথে যেতে না করেছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বলে তৃণমূল সূত্রে অভিযোগ । একই ধরনের অভিযোগ এসেছে গৌরহাটির ২৫৭. ২৫৮, ২৫৯, ২৬০ নং বুথ থেকেও। কোথাও কোথাও নিরাপত্তাহীনতায় বুথে বসতে ভয় পাচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা বলেও খবর। এই গৌরহাটিতে তৃণমূল সভাপতি পলাশ রায়ের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগও উঠেছে। অভিযোগের আঙুল বিজেপির দিকে।
গোঘাট
৮৬-৮৭ নং বুথে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে তৃণমূল সমর্থকদের ভয় দেখিয়ে ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
তারকেশ্বর
১৩৩ নং বুথ থেকে অভিযোগ, মহিলা ভোটারদের বিজেপির পক্ষে ভোট দিতে চাপ দিচ্ছেন মহিলা সিআরপিএফ জওয়ান। এখানে ২৬০, ২৬০-এ বুথে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিজেপি হুমকি দিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
উল্লেখ্য সকাল ৯ টা পর্যন্ত তিন জেলায় ভোট পড়েছে ১৪.৬২ শতাংশ। বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে অভিযোগ আসছে ভোটগ্রহণে শ্লথতারও। প্রসঙ্গত, প্রথম দফায় ভোট পড়েছিল ৮৪.৬৩ শতাংশ। দ্বিতীয় দফায় মোট ভোট পড়ে ৮৬.১১ শতাংশ। মাথার উপর চড়া রোদ, উত্তাপ প্রায় ৩৬ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেট। বিক্ষিপ্ত অশান্তির অভিযোগ আসছেই। এই অবস্থায় তৃতীয় দফার ভোটে কত শতাংশ ভোটগ্রহণ সম্ভব হয় সেটাই দেখার।