#হাওড়া: হাওড়া শহরে জল যন্ত্রণা নতুন কথা নয়। কিন্তু এবার রাজ্যের মূল প্রশাসনিক ভবন নবান্নও জলমগ্ন হয়ে পড়ল। শনিবার প্রায় এক ঘণ্টার বেশি বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পরল নবান্ন সংলগ্ন এলাকা ও নবান্ন ক্যাম্পাস। নবান্নের মূল গেটের ভিতর দিয়েও দেখা গেল গোড়ালি সমান জল। নবান্নের ঢোকা ও বেরোনোর গেট গলি জলমগ্ন। নবান্ন সংলগ্ন রাস্তা গুলিতে হাঁটু সমান জল।
শনিবার নবান্নে মুখ্য সচিবের নেতৃত্বেই সাতটি দফতরের সচিব বৈঠক করেন। শুধু তাই নয় শনিবারও নবান্নে একাধিক আধিকারিক কর্মীরাও আসেন অফিসে। তাঁদেরকেও এই হাঁটু সমান জল পেরিয়েই বেরোতে হয়।
আরও পড়ুন: একশো দিনের ভুয়ো টাকা উদ্ধারে সময় বেঁধে দিল নবান্ন, আরও কড়া নির্দেশ
জল জমার ফলে সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় শনিবার আসা অফিস যাত্রীদের। সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকেও। তবে নবান্নের ভিতরে জলমগ্ন হয়ে পড়লেও পাম্প দিয়ে জল বের করার কোন ব্যবস্থা অবশ্য চোখে পড়েনি। সাধারণত লাগাতার বৃষ্টি হলে নবান্নের সামনে জলমগ্ন হয়, এমনটাই দাবি নবান্নের কর্মীদের একাংশের। সেক্ষেত্রে বৃষ্টি হলেই ততক্ষণাৎ জল নেমে যাবারও কোনও উপায় নেই বলেই দাবি করছেন আধিকারিকদের একাংশ।জল যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে এদিন নবান্নের কর্মীদের বাড়ি ফিরতে হয়। অন্তত তেমনই ছবি ধরা পড়ে শনিবার বিকেলে বৃষ্টির পর।
যদিও এ দিন হাতে গোনা কয়েকজন কর্মী নবান্নে এসেছেন। কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের জল যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলাতে দেখা যায়। মূল প্রশাসনিক ভবন হওয়া সত্ত্বেও কেন এতক্ষণ ধরে জল দাঁড়িয়ে রয়েছে, তা নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন উঠছে। যদিও এই বিষয় নিয়ে পূর্ত দফতরের কোনও আধিকারিকদের ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।
নবান্নের কর্মীদের একাংশের ব্যাখ্যা, যদি অন্যান্য দিনের মতো এটিও স্বাভাবিক কাজের দিন হতো তাহলে সমস্যা শেষ থাকত না। যদিও এদিন সন্ধ্যের পরে জল নেমে গেলেও নবান্ন সূত্রে খবর গোটা বিষয়টি পূর্ত দপ্তরের আধিকারিকদের নজরে এসেছে। তবে এ দিন শুধুমাত্র নবান্ন নয়, ব্যাপক বৃষ্টিতে কলকাতার একাধিক অংশই জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল। মধ্য কলকাতার একাধিক অংশ জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল। অবশ্য এ দিন গঙ্গা নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় জল বেরোতেও অনেকটা বেশি সময় লেগেছে বলে দাবি করছে আধিকারিকদের একাংশের।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।