#কলকাতা: এক সময় বলা হত সব তীর্থ বারবার গঙ্গাসাগর এক বার। এখন সেই দূর্গমতা আর নেই। নানা ভাবে সাগরে এখন পৌঁছানো যায়। বুধবার থেকে উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরের সঙ্গে গঙ্গা সাগরের সরাসরি যোগাযোগ শুরু হল। একদিকে কপিলমুণির আশ্রম তো অন্য দিকে হালিশহরে ঠাকুর রামপ্রসাদের ভিটে। এই দুই তীর্থ ক্ষেত্র জুড়ে গিয়ে এক নতুন ধরণের ভ্রমণের সুবিধা পেল রাজ্যবাসী দাবি হালিশহর পুরসভার প্রশাসক রাজু সাহানির।
হালিশহর পুরসভাকে গত কয়েক দিন আগে এক বেসরকারী সংস্থা আবেদন করে যে তারা হালিশহরে ডানলপ ঘাট থেকে সাগর দ্বীপ পর্যন্ত ফেরি চালাতে চান।অত্যাধুনিক ও আরামদায়ক এই ফেরি চলবে খুব দ্রুত গতিতে । গঙ্গার বুকে ভাসে যাওয়ার এই ব্যবস্থাকে তারা ওয়াটার ট্যাক্সি নাম দিয়েছে। এই ওয়াটার ট্যক্সি পরিসেবা বুধবার থেকে শুরু হল মঙ্গলবার সকালে এই পরিষেবার উদ্বোধন করেন নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক।
বেসরকারি সংস্থার ক্যাপ্টেন অঞ্জন সিনহা এই দিন জানান মাত্র আড়াই ঘন্টায় হালিশহর থেকে মিলেনিয়াম পার্ক জেটিতে তারা পৌছে দেবেন যাত্রীদের। করোনা অতিমারির এই সময় লোকাল ট্রেন বন্ধ। বাস উপচে পড়ছে। রাস্তায় জ্যাম। তার উপর ধূলো আর ধোঁয়া তো আছেই। সেই সব কাটিয়ে গঙ্গার দু পাড়ের সুন্দর দৃশ্য দেখতে দেখতে ঘড়ির কাঁটা মিলে সাচ্ছন্দ্য যাতায়াতের ব্যবস্থা তারা হালিশহরে নিয়ে এসেছেন। সকাল ছয়টায় উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহর ডানলপ জেটি থেকে একটি ওয়াটার ট্যাক্সি রওয়না দেবে সাগর দ্বীপে উদ্দেশ্য।
যাত্রা পথে সেটি হুগলির চন্দননগর জেটি ও উত্তর ২৪ পরগনার শেওরাফুলি জেটিতে দাঁড়াবে। তারপর কলকাতার স্ট্যান্ড রোডের মিলিনিয়াম জেটিতে স্টপ দিয়ে সোজা চলে যাবে সাগর দ্বীপ। দিনের দিন এই ওয়াটার ট্যাক্সি ফিরবে হালিশরের। জানান ক্যাপ্টেন অঞ্জন সিনহা। তিনি আরও জানান এর পর বেলা সাড়ে সাতটায় আরও একটি ওয়াটার ট্যাক্সি হালিশহর, চন্দননগর,শেওরাফুলি হয়ে মিলেনিয়াম জেটি পর্যন্ত চলবে। হালিশহর পুরসভার প্রশাসক রাজু সাহানির দাবী হালিশহর শুধু নয় বারাকপুর থেকে কল্যাণী পর্যন্ত মানুষ এই ওয়াটার ট্যাক্সির সুবিধা নিতে পারেন।এই ওয়াটার ট্যাক্সিতে ১৫৬ জন এক সঙ্গে যাতায়াত করতে পারবেন। ফলে অফিস যাত্রীর পাশাপাশি দলে বেঁধে সাগর কিংবা ঠাকুর রামপ্রসাদের ভিটে দেখতে আসতে পারবেন।