#সিউড়ি: বীরভূমের সিউড়িতে এখন বেশির ভাগ জায়গাতেই এখন জলেতে ট্যাংক বহন করছে বাড়ির পরিচয়। কারোর বাড়ির জলের ট্যাঙ্ক ফুটবলের আদলে, তো কারোর বাড়ির জলের ট্যাঙ্ক উড়োজাহাজের আদলে, বাদ যায়নি কেটলি বা রথও। ওই থেকেই এখন বাড়ির ল্যান্ডমার্কও হয়ে দাড়িয়েছে জাহাজ বাড়ি, কেটলি বাড়ি বা রথবাড়ি।
আর নিজেদের বাড়ির জলের টাঙ্কের নামে এলাকায় পরিচয় এখন, মনে মনে খুশী বাড়ির মালিকরা। এই যেমন সিউড়ীর সাজানো পল্লীর একটি দোতালা বাড়ির ছাদে রয়েছে জলের টাঙ্ক বিশাল এক কেটলির আকারে। দূর থেকে দেখে মনে হয় বাড়ির ছাদে রয়েছে একটি বড়ো কেটলি। তবে ওই কেটলির মধ্যে পাম্পের সাহা্য্যে জল ভরে, জল পাইপ লাইনের মাধ্যমে বাড়ির জলের লাইন করা রয়েছে। আবার ওই পাড়াতেই বেশ কয়েকটি বাড়ির ছাদে রয়েছে উড়ো জাহাজ। দূর থেকে দেখলে মনে হবে বাড়ির ছাদে নেমেছে উড়ো জাহাজ। তবে কাছে গিয়ে দেখলে দেখা যাবে বাড়ির জলের টাঙ্ক ওটি। সিউড়ীর সুভাষ পল্লী এলাকায় বাড়ির ছাদে রয়েছে শ্রী কৃষনের রথ। সিউড়ীর হাটজনবাজার কলোনী এলাকায় বাড়ির ছাদে জলের ট্যাঙ্ক ফুটবল, ফুটবল দেখাগেলো সিউড়ীর সাজানো পল্লীতে।
তাই বাড়ির ভেতরতো সাজানো হচ্ছেই, এখন সিউড়ীতে বাড়ির আকর্ষন বাড়াচ্ছে বাড়ির ছাদে থাকা জলের ট্যাঙ্ক। কেটলি বাড়ির মালিক মজা করে বলেছেন - স্ত্রীর সাথে ঝগড়া হলে চা না করে দিলে, কেটলে জলের ট্যাঙ্ক থেকে আসা জল খেয়েই বলেন কেটলির গরম জল খেলাম চা মনে করে। প্রত্যেকেই জানিয়েছেন দূরদূরান্ত থেকে আত্মীয় স্বজনরা এলে বাড়ির মালিকের নাম নয় টোটো বা অটো ওয়ালারা নিয়ে আসে কেটলি বাড়ি, রথবাড়ি বা ফুটবল বাড়ির নামে। নিজেদের বাড়িকে চেনানোর আজব কৌশল বাড়ির মালিকদের ৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Birbhum