#ফরাক্কাঃ তীব্র জলকষ্টে ভুগছে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা। মাঝ বৈশাখেই জল সঙ্কট! কুয়োর জলই এখন একমাত্র ভরসা সাধারণের। সে জলও আবার ঘোলা। বাধ্য হয়ে ঘোলা জল খেয়েই দিন কাটাচ্ছেন মানুষজন। মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার বাহাদুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে রয়েছে বেশ কয়েকটি আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম। পাথুরে এলাকা হওয়ায় সাধারণ টিউবওয়েল এখানে বসানো যায় না। একমাত্র ভরসা ডিপ টিউবওয়েল, যার খরচ প্রায় দেড় লাখ টাকা। গ্রামের প্রান্তিক মানুষের পক্ষে এত খরচ করে ডিপ টিউবওয়েল বসানো সম্ভব হয় না। যদিও সরকারিভাবে কয়েকটি ডিপ টিউবওয়েল বসানো হয়েছিল কয়েক বছর আগে। কিন্তু বর্তমানে সেই ডিপ টিউবওয়েলের কোনোটা খারাপ, আবার কোথাও জলের লেয়ার নেমে যাওয়ায় জল সঙ্কটে পড়ছে ফরাক্কার বাহাদুরপুর গ্রামপঞ্চায়েতের বাগদাবরা, সোনাজুড়ি, টুরিপাড়া, কলাইডাঙ্গা, বারোমাসিয়া, ওসমানপুর ও রায়পাড়া এলাকার মানুষ।
আরও পড়ুন: বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যু, কলকাতায় নেমেই অর্জুন চৌরাসিয়ার বাড়ি যাচ্ছেন অমিত শাহ
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতি বছর গ্রীষ্মকাল পড়তে না পড়তেই মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার বাহাদুরপুর গ্রামপঞ্চায়েতের অন্তর্গত, বাগদাবরা, সোনাজুড়ি, টুরিপাড়া, কলাইডাঙ্গা, বারোমাসিয়া, ওসমানপুর ও রায়পাড়া এলাকায় জলের সঙ্কট দেখা দেয়। ইতিমধ্যে ওই এলাকার বেশির ভাগ কুয়োর জলও শুকিয়ে গেছে। কিছু কুয়োর জলও শেষ সীমানায়, তাও আবার ঘোলা জল। বাধ্য হয়ে কুয়োর ঘোলা জলই পান ও রান্নার কাজে ব্যবহার করছেন বাসিন্দারা। ওই এলাকায় বাস করা কয়েক হাজার পরিবারের পানীয় জলের ভরসা বলতে এখন কুয়োর জল। ফলে চরম সমস্যার মধ্যে দিন কাটচ্ছেন তাঁরা। ঘোলা জল খেয়ে পেটের রোগেও ভুগছেন তাঁরা। এমনিতেই এ রাজ্যের মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া সহ বিস্তীর্ণ এলাকার ভূগর্ভস্থ জল আর্সেনিকের কবলে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি, ওই এলাকায় একটি আর্সেনিক মুক্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা করার। স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে নেতাদের বারবার বলা হলেও এখনো কোনও সুরাহা হয়নি।
এছাড়া চাষের জমিতে শ্যালো পাম্প ও শহর এলাকার বহুতলগুলো বেহিসাবী ভাবে ভূগর্ভস্থ জল তুলে নেওয়ায় মাটির নীচে জলস্তরে টান পড়েছে অনেক আগেই। এ ব্যাপারে বারবার প্রশাসনিক স্তরে জানানো হলেও ঘুম ভাঙেনি, নেতা থেকে আমলা কারোরই। স্থানীয়দের অভিযোগ, ভোট আসলে নেতারা আসেন, আশ্বাস দেন। ভোট চলে গেলে নেতারা ভুলে যান সাধারণের কথা। বাধ্য হয়ে বেঁচে থাকার জন্য কুয়োর ঘোলা জল ভরসা হয়ে উঠেছে গ্রামের মানুষের। ফরাক্কা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আবুল কালাম জানান, এলাকায় জল সঙ্কট রয়েছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তিনি জানিয়েছেন।
Koushik Adhikary
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Murshidabad