হুগলি: একসময় গাড়ির ড্রাইভারি করে পেট চালাতেন। লকডাউনে সে সবকিছু বন্ধ হয়ে যায় তাই জীবন জীবিকা নির্বাহের জন্য বেছে নিয়েছেন সাইকেলে করে পান বিক্রি করা। মিষ্টি পান থেকে ফায়ার পান সবরকম পানই বিক্রি করেন তিনি তাও আবার লোকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে। তার গোটা পানের স্টল থাকে তার সাইকেলে। সকাল হতেই সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়েন পান ফেরি করতে। অভিনব তার এই ভ্রাম্যমান পানের দোকান দেখে অনেকেই আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। তাকে দেখলেই লোকজন পান খাওয়ার আগে মোবাইল বার করে ভিডিও করতে শুরু করে দেন। সেই কারণেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন ভাইরাল কিশোরী পানওয়ালা।
২০১৯ সাল পর্যন্ত কিশোরী একটি প্রাইভেট সংস্থার হয়ে গাড়ি চালাতেন। কিন্তু লকডাউনে সেই সব কিছু বন্ধ হয়ে যায়। পেটের ভাত জোগাড় করার জন্য নানা কাজ খুঁজছিলেন তিনি। তখনই লালু প্রসাদ যাদবের একটি কথা তার খুব মনে ধরে যায়। "খান ওর পান" সেই থেকেই তার মাথায় আসে তার নিজের খাওয়ার জন্য পানই তাকে রসদ যোগাবে। তারপরেই বড় বাজার থেকে কৌটো ও পানের সরঞ্জাম কিনে সাইকেলকেই পানের কাউন্টার বানিয়ে দিয়েছেন কিশোরী। প্রতিদিন পান বিক্রি করে তার আয় হয় চারশ থেকে পাঁচশ টাকা। হুগলির উত্তর পাড়া হিন্দ মটর হাওড়ার বালি বেলুর এই সমস্ত অঞ্চলে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পান বিক্রি করেন কিশোরী।
জন্মসূত্রে কিশোরীর বাড়ি বিহারে, সেখানেই এখনও তার ছেলে বউ সবাই রয়েছে। কর্মসূত্রে কিশোরী থাকেন হিন্দমোটরের ধারসা অঞ্চলে। বড় বাজার থেকে পান ও পানের মশলা কিনে নিয়ে আসেন। কিশোরীর হাতের পান খাওয়ার জন্য অনেক আবাসনের আবাসিকরাও দুপুর হলেই জানলা দিয়ে উঁকি মেরে বসে থাকে কখন কিশোরী তার সাইকেল নিয়ে পান বিক্রি করতে আসবে।
১০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০ টাকা পর্যন্ত পান বিক্রি করেন কিশোরী। কিশোরীর এক ক্রেতা ঋতিকা দত্ত বলেন, সাধারণত পান তিনি খান না তবে সাইকেলে করে পান বিক্রি করতে দেখে তিনি পান খেতে দাঁড়িয়ে পড়েছেন। কিশোরীর মিষ্টি পান খেয়ে রিতিকা বলেন দশের মধ্যে কিশোরীর মিষ্টি পান অন্তত ৮ নম্বর পাওয়া উচিত।
রাহী হালদার
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Paan, Viral Video