#বীরভূম: বাঁশের মাচায় চাপিয়ে মানুষকে শ্মশান নিয়ে যাওয়া হয় তার মৃত্যুর পর। তবে বীরভূমের (Birbhum) একটি গ্রামে বছরে একদিন জ্যান্ত মানুষকে মরা সাজিয়ে বাঁশের মাচায় চাপিয়ে গ্রাম ঘোরানোর রীতি রয়েছে। বছরের পর বছর ধরে এই রীতি চলে আসছে। যদিও এমন ঘটনার সূত্রপাত কবে হয়েছিল তা সম্পর্কে গ্রামের কেউ সঠিকভাবে কিছু বলতে পারেননি। তাঁদের দাবি, তাঁদের পূর্বপুরুষেরা এমনটা করতেন, এখন তারাও করেন (Viral News)।
বীরভূমের (Birbhum) এই গ্রামের এমন আজব রীতি শুনে অনেকেই হতবাক (Viral News)। তবে হতবাক হওয়ার আরও অনেক কিছুই বাকি রয়েছে। প্রতি বছর দোল পূর্ণিমার পরের দিন এই গ্রামে এমন রীতি পালনের জন্য গ্রামের মানুষেরা এমনকি আশেপাশের কয়েকজন সেখানে জড়ো হন। তারপর গ্রামের একজনকে মরা সাজানোর জন্য বেছে নেওয়া হয়। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় পার্শ্ববর্তী শ্মশানে। সেই শ্মশানে পড়ে থাকা সৎকারের জন্য বাঁশ, দড়ি এবং অন্যান্য সামগ্রী সংগ্রহ করে মাচা তৈরি করা হয়। তারপর সেই মাচাতে শোয়ানো হয় বেছে নেওয়া জানতো ব্যক্তিকে। অবিকল মরার মত তাকে মাচায় বেঁধে গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় ঘোরানো হয়। এই ভাবে ঘোরানোর সঙ্গে সঙ্গে চলে গান-বাজনা এবং আবির খেলা। মৃত ব্যক্তির শেষ যাত্রায় যেখানে কান্নার রোল দেখা যায় সেই জায়গায় এই রীতির ক্ষেত্রে চলে হই-হুল্লোড়।
আরও পড়ুন - Viral News: কীভাবে বারবার স্ত্রীকে করবেন প্রেগন্যান্ট, ফেসবুকে পদ্ধতি বাতলে দিলেন ডক্টর শেখ!
এখন প্রশ্ন জাগতে পারে এমন আজব রীতি বীরভূমের কোন গ্রামে রয়েছে? এমন আজব রীতি রয়েছে বীরভূমের সিউড়ী এক নম্বর ব্লকের অন্তর্গত ১৪ নং জাতীয় সড়কের ধারে মল্লিকপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়পুর গ্রামে। এমন আজব রীতিকে এখানকার বাসিন্দারা কেউ ধুলুরি, আবার কেউ ধুলোই বলে থাকেন। স্থানীয় বাসিন্দারা এই রীতি পালনের ক্ষেত্রে দেবদেবীর প্রসঙ্গও টেনেছেন। তবে সে যাই হোক একজনের এই আজও রীতিকে কেন্দ্র করে এলাকার আট থেকে আশি সবাইকে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করতে দেখা যায় এবং আনন্দে মত্ত হতে লক্ষ্য করা যায়। গ্রামের মানুষদের কাছে এই রীতি হৈ-হুল্লোড়ের হলেও এমন আজব রীতিতে স্বাভাবিকভাবেই অবাক করেছে অন্যান্যরা।
Madhab Das
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Birbhum, Viral News