#সন্দেশখালি: একসময় ছিল চৌকিদার। গ্রামে গ্রামে তারই আধুনিক সংস্করণ ভিলেজ পুলিশ। যাদের কাজ রাজ্য পুলিশকে সাহায্য করা। দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত এক ভিলেজ পুলিশ। উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির এই ঘটনা ঘিরে রাজ্য জুড়ে শোরগোল। অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, দুষ্কৃতীদের ধরতে অত রাতে নিরস্ত্র ভিলেজ পুলিশ কেন নিয়ে যাওয়া হল? রাজ্যের পুলিশের অবশ্য দাবি, নানা সময়েই ভিলেজ পুলিশকে অভিযানে নিয়ে যাওয়া হয়। এটা নতুন বা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো প্রাক্তন পুলিশ কর্তার কথায়, (মেইনলি ইন্টেলিজেন্স কালেক্ট করে থানায় নিয়ে আসে। অনেসময় নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশের সাহায্যকারী হিসেবে কাজ করে। অনেক সময় ফোর্স বেশি থাকলে অপারেশনে সুবিধা হয়।' ২০১২ সাল থেকে এ রাজ্যে ভিলেজ পুলিশ কাজ করছেন গ্রাগুলিতে৷ শহর ও শহরাঞ্চলে যেমন সিভিক ভলানটিয়ার তেমন গ্রামে ভিলেজ পুলিশ৷ মূলত গ্রামের ছেলেদেরই নিয়োগ করা হয়৷ ভিলেজ পুলিশ হতে ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চমাধ্যমিক পাশ৷ পোশাকের রং খাকি৷
ভিলেজ পুলিশ কাজ করে পুলিশের চোখ-কান হিসেবে। দুর্নীতি থেকে আইনশৃঙ্খলা, যে কোনও খবর তারাই পৌঁছে দেয় থানায়। প্রয়োজনে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণও করে।
এরকমই নিরস্ত্র ভিলেজ পুলিশ বিশ্বজিৎ মাইতি সন্দেশখালিতে সশস্ত্র দুষ্কৃতী ধরতে গিয়ে নিহত হলেন।