হোম /খবর /দক্ষিণবঙ্গ /
ফোঁস ফোঁস শব্দ! নার্সিং হোস্টেলের দরজার সামনে যেতেই যা কাণ্ড ঘটল

ফোঁস ফোঁস শব্দ! নার্সিং হোস্টেলের দরজার সামনে যেতেই যা কাণ্ড ঘটল

বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে

  • Share this:

#পূর্ব বর্ধমান: ফোঁস ফোঁস আওয়াজ শুনেই আঁতকে ওঠেন সকলে। আশঙ্কাকে সত্যি প্রমাণ করে ঘর থেকে বের হল প্রমাণ সাইজের বিষধর। আতঙ্কে ততক্ষণ সিঁটিয়ে রয়েছেন সকলেই। খবর দেওয়া হয় সাপ ধরার অনুমোদন প্রাপ্ত স্থানীয় সংস্থাকে। সেখানকার প্রশিক্ষিত কর্মীরা সেই বিষধরকে ধরে আনার করার পর স্বস্তি পেলেন সকলে।

কালনা মহকুমা হাসপাতাল চত্বরে থাকা নার্সিং স্টাফদের হোস্টেলের মধ্যে বিষধর কেউটে সাপ উদ্ধারকে ঘিরে শুক্রবার বিকেলে চাঞ্চল্য ছড়ায়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন হোস্টেলের মধ্যে থাকা নার্সিং স্টাফরা। তাঁদের দাবি, প্রায়ই হাসপাতালের এই হোস্টেলে বিষধর সাপ দেখা যায়। আতঙ্কের মধ্যে ওই ঘরেই কাটান তাঁরা। এ যা পরিবেশ, যে কোনও সময় সাপের ছোবলে প্রাণ হারানোর আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।

নার্সিং কর্মীরা বলছেন সাপটি ঘরে ঢোকার দরজার পাশে ছিল। বেডরুম বা রান্নাঘরে ঢুকে গেলে আরও বড় বিপত্তি হতে পারত। অবিলম্বে পুরো এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা প্রয়োজন। না হলে ফের বিষধর সাপ ঢুকে আসবে।

বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য, এর আগেও একাধিকবার বিষধরের দেখা মিলেছে। কাজের প্রয়োজনে রাতের অন্ধকারে যাতায়াত করতে হয়। তাই যাতে আর সমস্যা না হয় তা দেখা হোক। সাপ ধরার অনুমোদন প্রাপ্ত স্থানীয় সংস্থার কর্মীরা ওই সাপটিকে ধরে নিয়ে যায়। তাঁরা সেটিকে বন দফতরের হাতে তুলে দেবেন বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন, ফের জামিন পেলেন সাকেত, প্রতিবাদ জানিয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি তৃণমূলের

ওই দলের এক সদস্য জানালেন, সাধারণত শীতকালে সাপেদের গর্তের বাইরে আসতে দেখা যায় না। কারণ, এই সময় তারা শীত ঘুমে থাকে। গরমকালে সাপ খাবারের খোঁজে গর্তের বাইরে বেরিয়ে আসে। এই সাপটি হয়তো হোস্টেলের কোনও জায়গায় আস্তানা গেড়েছিল।

আরও পড়ুন, আরও বড় 'জয়' শুভেন্দু অধিকারীর, আদালতের অনুমতি ছাড়া আর কোনও FIR নয়!

এ বিষয়ে কালনা মহকুমা হাসপাতাল সুপার চন্দ্রশেখর মাইতি বলেন, বিষয়টি শুনেছি। হোস্টেল চত্বর ও তার আশেপাশে পরিষ্কার করা হবে। সেই সঙ্গে হোস্টেলের জানালা গুলিতে যাতে নেটের ব্যবস্থা করা যায় সে বিষয়ও ভাবা হচ্ছে।

Published by:Suvam Mukherjee
First published:

Tags: Snake