#কাটোয়া: নগরের এই পথ ধরে পাঁচশ বছর আগে হরিনাম সংকীর্তন দিয়ে সমাজ সংস্কারের কাজে নেমেছিলেন মহাপ্রভু চৈতন্যদেব। পাঁচশ কুড়ি বছর পর মানব সমাজকে রক্ষা করতে চৈতন্য দীক্ষাভূমিতেই আবার শুরু হল নাম সংকীর্তন।
২০ ওয়ার্ডের কাটোয়া পুরসভায় ১৮ হাজার হোল্ডিংয়ে লোক সংখ্যা প্রায় ৯০ হাজার। করোনা সংক্রমণ রুখতে সরকারি ঘোষণার লকডাউন এবং সামাজিক দূরত্বের নিয়ম অনেকেই মানছেন না। পুরসভা মাইকিংয়ের মাধ্যমে লাগাতার ঘরে থাকার আবেদন করে চলেছে। রাস্তায় করোনার ছবি আঁকিয়েছে। তবুও লোক অহেতুক বাড়ির বাইরে বেরিয়ে পড়ছেন। অবশেষে কাটোয়ার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাশীগঞ্জ পাড়ার বাসিন্দা পরম বৈষ্ণব মোহন গোঁসাইকে পুরপ্রধান আবেদন করে বলেন, নগরবাসীর বাড়ি গিয়ে ঘরে থাকার আবেদন করতে হবে।
পুরপ্রধানের প্রস্তাবে মোহন গোঁসাই রাজি হয়ে কাজ শুরু করেন। দুই সদস্যের চারটি দলে ভাগ হয়ে কাটোয়ার পুরএলাকার বিভিন্ন পাড়ায় এই অভিনব প্রচার করবেন। বাড়ির গেরস্তের কাছে গিয়ে মোহন গোঁসাই আবেদন করে বলছেন, 'আমরা আজ ভিক্ষে নেব না তোমাদের প্রতিশ্রুতির মাধুকরী নেব। তোমরা ঘরে থাকবে, অপ্রয়োজনে বাড়ির বাইরে যাবেন না। তবেই করোনা ভাইরাস থেকে আমরা বাঁচব'। সকল গেরস্তই করোনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পুরসভার এই অভিনব প্রচারে খুব খুশি। এখন দেখার চৈতন্যের দীক্ষাভূমিতে হরিনাম কতটা প্রভাব ফেলে। নগরের পথে পথে নামকীর্তনের স্বরে শ্রীখোলের তালের সঙ্গে নেচে ওঠে আনন্দলহরী।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।