#বর্ধমান: টোটোর শহরে পরিণত হয়েছে বর্ধমান শহর। যে এলাকা যত জনবহুল সেই এলাকায় টোটোর আধিক্য তত বেশি। ফলস্বরূপ দেখা দিচ্ছে লাগামছাড়া যানজট। শহরে এমনিতেই বৈধ টোটোর দ্বিগুণ চলছে বেআইনি টোটো। তার উপর রোজগারের আশায় প্রতিদিন আশপাশের গ্রামীণ এলাকা থেকে শহরে শয়ে শয়ে টোটো ঢুকছে। সব মিলিয়ে টোটোর আধিক্যে এই শহরের রাস্তায় হাঁটাই দায়।
এমনিতেই শহরের ফুটপাত হকারদের দখলে চলে গিয়েছে। পথচারীদের হাঁটতে হয় রাস্তা ধরেই। আর তাতেই পদে পদে টোটোয় ধাক্কা খেয়ে আহত হওয়ার ঝুঁকি। বাসিন্দারা বলছেন, ঘিঞ্জি রাস্তায় বেপরোয়াভাবে ছুটে চলে টোটো। পথচারীদের অসুবিধার দিকে লক্ষ্যই করে না তারা। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্ত্বর, ডাক্তারপাড়া খোসবাগান, বড়বাজার, বি সি রোড, পার্কাস রোড সহ ব্যস্ততম এলাকাগুলিতে টোটোর আধিক্য সবচেয়ে বেশি।
টোটো চলাচলে লাগাম পরাতে টোটোকে ই- রিকশায় বদল করিয়ে টেম্পরারি আইডেনটিফিকেশন নম্বর দিয়েছিল পরিবহণ দফতর। এখন পর্যন্ত প্রায় দু'হাজার টোটোেকে এই অস্থায়ী নম্বর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার বাইরে অন্তত আরও পাঁচ হাজার টোটো বেআইনিভাবে চলছে এই শহরে। বেপরোয়াভাবে অসংখ্য টোটো চলাচলে বিরক্ত বাসিন্দাদের অনেকেই।
তাঁরা বলছেন, অবিলম্বে টোটোর রুট ভাগ করে দিক প্রশাসন। টোটোর এলাকা বেঁধে দেওয়া হোক। তাতে রাস্তায় টোটোর চাপ কমবে। শৃঙ্খলা ফিরবে অনেকটাই। তা না হলে যেখানে যাত্রী পাবার সম্ভাবনা বেশি সেখানেই ঘুরপাক খাচ্ছে বেশিরভাগ টোটো। তার ফলে যানজটে বারে বারে থমকে যাচ্ছে শহর।অভিযোগ, যখনই টোটো নিয়ে সমালোচনা শুরু হয় তখন নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। ঘোষণা হয় নানান পরিকল্পনা। আবার তা থমকে যেতেও বেশি সময় লাগে না।
চলতি বছরের শুরুতেই টোটো চলাচলে শৃঙ্খলা ফেরাতে নানান পরিকল্পনা কার্যকর করার কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল জেলা প্রশাসন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে তা থমকে যায়।পঞ্চায়েত এলাকা ও শহরের টোটো চিহ্নিত করতে আলাদা স্টিকার লাগানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। রুট ভাগ করার বিষয়টিও কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জেলা প্রশাসন। তবে তা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। টোটো চালকরাও বলছেন, রুট ভাগ করে দেওয়া হলে তাঁদের উপার্জন বাড়বে। শহরে যান চলাচলে শৃঙ্খলা ফিরে অনেকটাই।
Saradindu Ghosh
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।