#বর্ধমান: আনলক ওয়ানের প্রথম দিনেই চেনা ছন্দে ফেরার পথে বর্ধমান শহর। করোনার সংক্রমনের উদ্বেগ উপেক্ষা করে এদিন সকাল থেকেই বর্ধমান শহরের পথে নেমেছেন অনেকেই। সকাল থেকেই বর্ধমান শহরের জিটি রোড সহ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলিতে দুচাকা, চারচাকা গাড়ির ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। ছোটবড় অনেক দোকানই খুলেছে। শুরু হয়েছে টোটো চলাচল। সব মিলিয়ে জুন মাসের প্রথম দিনে লকডাউন পর্ব কাটিয়ে অনেকটাই স্বাভাবিক বর্ধমান শহর। ভিড় বাড়ছে বাজার এলাকাগুলিতে। সেই ভিড়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সে ভাবে সম্ভব না হলেও মুখে মাক্স বেঁধেছেন বেশিরভাগ বাসিন্দাই।
পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতী বলেন, কন্টেইনমেন্ট জোন বাদ দিয়ে জেলার বেশিরভাগ এলাকা স্বাভাবিক হওয়ার পথে। দোকানপাট খুলেছে। তবে কন্টেইনমেন্ট এলাকায় লকডাউন যাতে যথাযথভাবে পালন করা হয় সে ব্যাপারে সতর্ক নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। অন্যত্র দোকানপাট খুলেছে। বাসিন্দারাও অনেকেই রাস্তায় বেরিয়েছেন। তবে বেশি ভিড় না করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলা জরুরি বলে পরামর্শ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। বাসিন্দাদের সবসময় মাস্কে মুখ ঢেকে রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ঘনঘন হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার বা সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা।
বর্ধমান শহরের রাস্তায় কয়েকদিন আগে থেকেই বাসিন্দাদের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে বিভিন্ন খাবারের স্টল,ছোটো দোকান সবই খুলে গিয়েছিল। তবে সোমবার আনলক ওয়ানের প্রথম দিনে রাস্তায় ভিড় দেখা গেল আগের তুলনায় অনেক বেশি। এদিন নতুন করে অনেক দোকান খুলেছে। ভোর থেকেই ব্যাপক ভিড় ছিল পাইকারি সবজি বাজারে। পাইকারি মাছের বাজারে ছিল থিকথিকে ভিড়। তবে বেশ কিছু বড় দোকান এখনও কিছুদিন অপেক্ষায় থাকার পক্ষপাতী। এখনও বাস চলাচল শুরু হয়নি। লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ। সে কারণে বাইরে থেকে অনেকেই শহরে আসতে পারছেন না। তাই দোকান খুললেও যে ভিড় হবে এখনই তেমন আশা করছেন না অনেক ব্যবসায়ী। কর্মচারীদের বেতন দিয়ে অন্যান্য খরচ সামলে বিশেষ লাভ হবে না বলেই মনে করছেন তাঁরা।তাই পরিস্থিতি আরও কিছুটা স্বাভাবিক হওবার অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁদের অনেকেই।
Saradindu Ghosh
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bardhaman, Coronavirus, COVID-19, Lockdown, Unlock 1