#বীরভূম: করোনাকালে ডিজিটাল লেনদেনের ব্যবহার বেড়েছে বহুগুন। তবে এই ডিজিটাল লেনদেন বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে প্রতারণার ঘটনা। লটারিতে টাকা জেতা, কেওয়াইসি (KYC) ইত্যাদি নানান ধরনের ফাঁদে ফেলে প্রতারকরা লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ বার এমনই একটি ঘটনার সাক্ষী থাকল বীরভূম।
অভিযোগ, বীরভূম জেলার বাতাসপুরের জাহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে নতুন গ্যাস কানেকশন নেওয়ার ফলে লটারি জিতেছেন বলে প্রলোভন দেখানো হয়। সেই প্রলোভনে পা দিলে ধাপে ধাপে জাহিদুল ইসলামের থেকে মোট ৫৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকরা। বুঝতে পেরে এই ঘটনায় একটি অভিযোগ দায়ের হয় বীরভূম জেলা সাইবার পুলিশে৷ তদন্তে নেমে পুলিশ এক যুবককে গ্রেফতার করে। ওই যুবককে সোমবার সিউড়ি আদালতে তোলা হলে আদালত তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহের অবসান কবে? কবে বৃষ্টিতে ভিজবে বাংলা? অবশেষে জানাল হাওয়া অফিস...
জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় অভিযুক্ত যুবকের নাম কিষান মন্ডল ওরফে কালু। তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে লোকপুর থেকে। যদিও পুলিশের অনুমান, এই ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন যুক্ত রয়েছে। ইতিমধ্যেই পুলিশের তরফ থেকে তাদের খোঁজ চালানো হচ্ছে।
কীভাবে এই প্রতারণার ঘটনা ঘটল?
পুলিশ সূত্রে খবর, জাহিদুল ইসলামকে গ্যাস কানেকশনের মাধ্যমে লটারি জয়ের কথা জানানোর পর ২০ মার্চ হোয়াটসঅ্যাপে একটি কিউআর কোড পাঠায় প্রতারক। ওই কিউআর কোড স্ক্যান করার পর ৩৫ হাজার টাকা চলে যায় ওই প্রতারকের অ্যাকাউন্টে৷ কিন্তু লটারিতে জেতা টাকা ফেরত পেতে আরও ১৮০০০ টাকা পাঠাতে বলা হয়৷ মোট ৫৩ হাজার টাকা চলে যাওয়ার পর, লটারির টাকা না পেয়ে প্রতারিত ব্যক্তি পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ রবিবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে৷
Madhab Das
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bank Fraud, Birbhum