#বর্ধমান: রাতে একসঙ্গেই খাওয়া দাওয়া সেড়ে শুতে গিয়েছিল তিন যুবক। ভোর হতে না হতেই চরম অস্বস্তি দু’জনের শরীরে। অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে তাদের ভর্তি করতে হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করে।
বর্ধমানের বাঁকুড়া মোড়ে এই দুই যুবকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বেঁধেছে। কেন একইভাবে মৃত্যু হল দু’জনের? তারা একসঙ্গে যে খাবার খেল তাতে কী বিষ ছিল? তা যদি ঘটে থাকে তবে কে বা কারা কেন বিষ মেশালো তাদের খাবারে? এসব প্রশ্নের এখন উত্তর খুঁজছে পুলিশ। জেলা পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। তাতেই মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে অনেকটাই নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
মৃত দু’জনের নাম সুনীল ওরাং এবং সন্তোষ ওরাং। সুনীলের বয়স ষোল বছর। সন্তোষের আঠারো। তাঁদের বাড়ি পুরুলিয়ায় বান্দোয়ানের ধবলী এলাকায়। তাঁরা একই গ্রামের বাসিন্দা। বছর খানেক ধরে বর্ধমানের বাঁকুড়া মোড়ের একটি গাড়ি সারানোর গ্যারেজে কাজ করতো তারা।
শনিবার রাতে সেখানেই তারা রাতের খাবার খায়। রবিবার ভোরে তারা অসুস্থ বোধ করে। প্রচন্ড পেটে ব্যথা শুরু হয়। তাঁদের বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাদের মৃত ঘোষণা করা হয়। তাদের সঙ্গে থাকা অপর একজনও একই খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লেও তিনি আপাতত সুস্থ রয়েছেন।
ঠিক কি কারণে এই মৃত্যু তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা বলছেন, মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে দেহগুলি ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বর্ধমান হাসপাতালের পুলিশ মর্গে। সেই সঙ্গে রাতে খাওয়া খাবারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তা পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। যেহেতু একই খাবার তিনজনই খেয়ে অসুস্থ হয়, তাই খাবার থেকেই শরীরে বিষক্রিয়া ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এখন সেই খাবার কোথা থেকে এসেছিল, তা কোথায় কতক্ষণ রাখা হয়েছিল সবকিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এজন্য সেখানে থাকা বাকিদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
শরদিন্দু ঘোষ