#বর্ধমান : ইংরেজি নতুন বছরের শুরুতেই তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বর্ধমান শহর। এলাকার দখল কাদের হাতে থাকবে মূলত তা নিয়ে দুই গোষ্ঠীর বচসা সংঘর্ষের রূপ নেয় বলে এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবসের পতাকা তোলাকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ হয় সংঘর্ষে দুপক্ষের বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। তাদের মধ্যে চারজনের আঘাত গুরুতর। সংঘর্ষের খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ফের সংঘর্ষ শুরু হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকার বাসিন্দারা। উত্তেজনা থাকায় এলাকায় পুলিশি টহল চলছে।
শুক্রবার সকালে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবসের পতাকা তোলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় বর্ধমান শহরের চার নম্বর ওয়ার্ডের বাজেপ্রতাপপুর এলাকায়। বাঁশ লাঠি নিয়ে এই সংঘর্ষে গুরুতর জখম হন চার জন। ঘটনাস্থলে বর্ধমান থানার পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তৃণমূল কংগ্রেসের চার নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সম্পাদক তথা জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম নেতা নুরুল আলম গোষ্ঠীর সঙ্গে দলেরই জয়ন্ত কুমার পাঁজার অনুগামীরা এই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম সকালে শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা।
জয়ন্ত কুমার পাঁজার অভিযোগ, পার্টির প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে বাজেপ্রতাপপুরে পতাকা উত্তোলনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই কর্মসূচি শুরুর মুখে নুরুল আলমের নেতৃত্বে তাদের উপর অতর্কিতে আক্রমণ চালানো হয়।ঘটনায় আহত হয় ৪ জন।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে নুরুল আলমের দাবি,এই ঘটনার সঙ্গে তাঁরা কেউ জড়িত নন।যারা অভিযোগ করছেন তারা তৃণমূলের কেউ নন। তারা বিজেপির মেম্বারশিপ নিয়েছেন।দলকে বদনাম করতেই মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছেন।উভয়পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। এই ঘটনায় যথেষ্টই অস্বস্তিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। কেন এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলো বিস্তারিতভাবে দল খতিয়ে দেখছে বলে সূত্র মারফত খবর মিলেছে।
Saradindu Ghosh