#হাওড়া: একেবারে ছকে বাঁধা চিত্রনাট্য। ভুলচুকের কোনও জায়গাই নেই। ব্যবসায়ীদের চোখে ধুলো দিতে টাকা ভর্তি ব্যাগ বদলে নিয়ে চম্পট। এতদূর পর্যন্ত ঠিকি ছিল। কিন্তু, প্রতারকদের ধরিয়ে দিল সিসিটিভির ফুটেজে গাড়ির নম্বর প্লেট।
ফিল্মি কায়দায় প্রতারণা। কম দামে বিক্রি করা হবে কাস্টমসে আটকে থাকা তামার তার। গুজরাতের দুই ব্যবসায়ীর জন্য এমনই টোপ দিয়েছিল চন্দননগরের বাসিন্দা অহীন্দ্র রায়। ব্যবসায়ী টোপ গিলতেই নাটক শুরু।
ব্যবসায়ীদের প্রতারণা
নির্দিষ্ট দিনে, হাওড়ার হোটেলে ব্যবসায়ীদের কাছে যায় ৪ প্রতারক। ২২ লক্ষ টাকা ঘুষ হিসেবে চায় তারা। বিশ্বাস তৈরি করতে বলা হয়, তামার তার ট্রাকে না ওঠা পর্যন্ত টাকা নেওয়া হবে না। এরপর, একটি ব্যাগে ওই বাইশ লক্ষ টাকা রাখতে বলা হয়। কিন্তু, ব্যবসায়ীদের নজর এড়িয়ে টাকার ব্যাগ সরিয়ে ফেলে প্রতারকরা। বদলে রাখা হয় একরকমের একটি ব্যাগ।
অভিযোগ পেয়ে প্রথমেই সিসিটিভির ফুটেজের সূত্র ধরে তদন্তে নামে হাওড়ার গোলাবাড়ি থানা।
প্রতারণার তদন্ত - ডবসন রোডের সিসিটিভির ফুটেজে ৪ প্রতারককে গাড়ি থেকে নামতে দেখা যায় - সেই ছবি থেকেই মেলে গাড়ির নম্বর - গাড়ির নম্বরের সূত্র ধরেই চন্দননগর থেকে গ্রেফতার করা হয় অহীন্দ্র রায় নামে এক ব্যক্তিকে
উত্তরপ্রদেশের একটি চক্র এমন নানা কায়দায় ব্যবসায়ীদের প্রতারণা চালায় বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। সেই চক্রেরই অন্যতম পাণ্ডা অহীন্দ্র। তার বাকি সঙ্গীদের খোঁজ চলছে।