#বর্ধমান: শুধুই পথসভা বা মিছিল নয়, এবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার। জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকরণ বা এনআরসি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ ইস্যুতে এবার জেলার প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে প্রচারের পরিকল্পনা নিয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকে এনআরসি ও সিএএ-র প্রতিবাদে ধারাবাহিক প্রচার ও আন্দোলন কর্মসূচি নিয়েছে জেলা তৃণমূল।
প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন বর্ধমানে জেলা পরিষদের অঙ্গীকার সভাকক্ষে জেলা তৃণমূলের বর্ধিত সভা করেন জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। সেখানেই এই কর্মসূচির চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি করা হয়েছিল।
রাস্তায় প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষের যাতে সমস্যা না হয় তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বপনবাবু বলেন, মানুষের অসুবিধা হয় এমন জায়গায় কর্মসূচি নেওয়া যাবে না।
এনআরসি ও সিএএ-এর সমর্থনে বিজেপির তরফে অভিনন্দন যাত্রার মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার চলছে। প্রতিদিনই নিয়ম করে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে সিএএ-এর সমর্থনে প্রচার চালাচ্ছে বিজেপি।এবার তৃণমূলও কোমর বেঁধে বাড়ি বাড়ি প্রচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও সিএএ বা এনআরসির প্রতিবাদে সভা, মিছিল ধারাবাহিকভাবে শুরু করেছে তৃণমূল। কয়েকদিন আগে কলকাতায় দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন জেলার সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক করেন। তাঁর নির্দেশে এবার ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু থেকেই এনআরসি ও সিএএ-এর প্রতিবাদে ধারাবাহিক কর্মসূচি নিচ্ছে তৃণমূল।
তৃনমূলের জেলা সাধারন সম্পাদক উত্তম সেনগুপ্ত জানান, দলনেত্রীর নির্দেশে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে জেলায় এনআরসি ও সিএএ ইস্যুতে আন্দোলন কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। ১ ও ২ ফেব্রুয়ারি জেলার সর্বত্র মিছিল করা হবে। ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি নীরব প্রতিবাদ হবে। মুখে কালো কাপড় বেঁধে মানববন্ধন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ বলেন, মানববন্ধন এক ঘণ্টার কর্মসূচি। জনবহুল বা গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় তা করা হলে বহু মানুষকে সমস্যায় পড়তে হবে। তাই তুলনায় কম জনবহুল এলাকার এই কর্মসূচি হবে। ৭ ফেব্রুয়ারি জেলার বিভিন্ন জায়গায় স্ট্রিট কর্নার বা পথসভা করবে তৃণমূল। ৮ ও ৯ ফেব্রুয়ারি বাড়ি বাড়ি প্রচার কর্মসূচি নেওয়া হবে। বিশেষ করে আদিবাসী, তফশিলি জাতি অধ্যুষিত এলাকাকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে। স্থানীয় নেতৃবৃন্দ নিজের নিজের এলাকায় এই কর্মসূচি করবেন। সেইসঙ্গে চলবে বাড়ি বাড়ি প্রচার কর্মসূচি।
বিজেপির বর্ধমান জেলার সভাপতি সন্দীপ নন্দী বলেন, এই আইন করা হয়েছে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ থেকে আগত শরণার্থীদের জন্য। তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিরোধীরা অপপ্রচার করছে এটা নিয়ে। আমরাও বাড়ি বাড়ি গিয়ে বোঝাচ্ছি শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্যই এই আইন করা হয়েছে।
Saradindu Ghosh
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।