# বর্ধমান: বিজেপিকে পথসভা করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে এমনই গুরুতর অভিযোগ তুলল বিজেপি নেতৃত্ব। রবিবার বিকেলে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু' পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয় বর্ধমানের ছোট নীলপুর ও তার আশপাশের এলাকায়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ দিনই সকালে বিজেপির পার্টি অফিস পোড়ানোকে কেন্দ্র করে ছোট নীলপুরের পাশেই শহরের শালবাগান এলাকায় রাজনৈতিক উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল। দুপুরে শহরের ভাতছালা এলাকায় দেওয়াল লিখনের অংশ নেওয়া বিজেপি কর্মীদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি পূর্বস্হলীতে বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগ ওঠে। বিকেলের পর শহরের ছোট নীলপুরে পথসভা করাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় উদ্বিগ্ন শহরের বাসিন্দারা।
এ দিন বিজেপির পথসভাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় বর্ধমান শহরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ছোট নীলপুর পীরতলা এলাকায়। রবিবার বিকেলে পীরতলায় একটি পথসভা ছিল বিজেপির। অভিযোগ,পথসভায় বাধা দেয় স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। সভার অনুমতি দেখতে চায় তৃণমূল কর্মীরা৷ অনুমতিপত্র দেখাতে অস্বীকার করে বিজেপি। এই নিয়ে উত্তেজনা চরমে ওঠে।
দু পক্ষই লোহার রড, হকি স্টিক, লাঠি, বাঁশ নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ে।দু'দলের সমর্থকদের মধ্যে ধস্তাধস্তিও হয়। তাতে দু পক্ষের কয়েক জন আহত হয়। খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিজেপি নেতা শ্যামল রায় বলেন, 'আমরা অনুমতি নিয়েই দলীয় কর্মসূচি করছিলাম । তৃণমূলের লোকজন অনুমতি দেখতে চায়। ওরা অনুমতি দেখতে চাওয়ার কে? সেই প্রশ্ন তুললে তৃণমূল কর্মীরা আমাদের উপর হামলা চালায়। এ রাজ্যে যে গণতন্ত্র নেই তা এই ঘটনা আরও একবার প্রমাণ করল।'
অন্যদিকে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা গৌরীশঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, 'বিজেপি বদলা চাই বলে এলাকায় এলাকায় অশান্তি করতে চাইছে। এখানেও তেমনই পরিকল্পনা নিয়েছিল তারা। আমাদের ছেলেরা পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গেলে তাদের উপর হামলা হয়। ঘটনায় আমাদের দু'জন আহত হয়েছেন।'
এ দিন সকাল থেকেই বর্ধমান শহরে বিজেপি তৃণমূলের সঙ্গে নানা ইস্যুতে টক্কর চলেছে। বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে রাতে আগুন লাগানো হয় বলে অভিযোগ।বিজেপি-র অভিযোগ শাসকদলের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের একটি দলীয় কার্যালয়েও পালটা হামলার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে।দুপুরে দেওয়াল লেখা নিয়ে ফের গোলমাল হয়। এ সবের পর সন্ধের মুখে সভা করাকে কেন্দ্র করে বচসা ও সংঘর্ষে জড়ায় দু পক্ষ।
Saradindu Ghosh