#বর্ধমান: বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার রোড শো র চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে পাল্টা কর্মসূচি পালন করল যুব তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির পাল্টা জবাব হিসেবে বর্ধমানের জিটি রোডেই রোড শো করে তারা। বর্ধমানের টাউন হল থেকে শুরু হয় এই রোড শো।
রেল স্টেশন পার করে গোলাপবাগের আগে কলেজ মোড়ে সন্ধ্যা নাগাদ সেই রোড শো শেষ হয়। এদিকে রোড শোয়ে জনসমাগম নিয়ে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়। বিজেপির দাবি, সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার রোড শোয়ে রেকর্ড সংখ্যক জনসমাগম হয়েছিল।এমন জনসমাগম বহুদিন বর্ধমানের বাসিন্দারা দেখেননি। সেই ভিড়ের সামনে তৃণমূলের এই রোড শোয়ের কোনও তুলনাই হয় না।
অন্যদিকে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের দাবি, স্বল্প সময়ের মধ্যে আয়োজন করা এই রোড শোয়ে বিজেপির দ্বিগুণ কর্মী-সমর্থক জমায়েত হয়েছে। এদিন বিকেল পৌনে চারটে নাগাদ বর্ধমানের টাউন হল থেকে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রোড শো শুরু হয়। হুড খোলা গাড়িতে রোড শোয়ে মুখ্য আকর্ষণ ছিলেন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সহ-সভাপতি সোহম চক্রবর্তী।
এছাড়াও ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের পূর্ব বর্ধমান জেলার সভাপতি মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, প্রাক্তন সাংসদ মমতাজ সংঘমিতা, জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রাসবিহারী হালদার, গলসির বিধায়ক অলোক মাঝি, রায়নার বিধায়ক নেপাল ঘড়ি, মেমারির বিধায়ক নার্গিস বেগম সহ জেলা নেতাদের অনেকেই।
রোড শো শুরু হওয়ার আগে থেকেই তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকদের দখলে চলে গিয়েছিল বর্ধমানের জিটি রোড। শৃঙ্খলা বজায় রাখতে দড়ি দিয়ে রাস্তার দু'পাশ ঘিরে দেয় পুলিশ। অনেক কর্মী সমর্থককে জিটি রোডে হাঁটতে দেওয়া হয়নি। রাস্তার দু'পাশে দাঁড়িয়ে সোহমকে স্বাগত জানান তাঁরা। কখনও হাত জোড় করে, কখনও হাত নেড়ে কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সহ-সভাপতি।
এদিনের এই রোড শো শান্তিপূর্ণ রাখতে ব্যাপক পুলিশি তৎপরতা লক্ষ্য করা গিয়েছে। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাড়তি পুলিশকর্মী নিয়ে এসে জি টি রোডে মোতায়েন করা হয়েছিল। রোড শোয়ের জন্য অনেক আগে থেকেই শহরের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়।