#গোঘাট : অশান্তির তৃতীয় দফায় মঙ্গলবার বার বারই শিরোনামে উঠে আসে গোঘাট বিধানসভা কেন্দ্র (Goghat Constituency)। ভোট দিয়ে ফেরার সময় নিহত হন স্থানীয় তৃণমূল নেতা সুনীল রায়। গোঘাটে তৃণমূলের বুথ সভাপতি ছিলেন ফলুইয়ের বাসিন্দা সুনীল রায় (৭২)। বিজেপি কর্মীরা তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন বলে অভিযোগ করে তৃণমূল। যদিও ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির। সুনীল রায়ের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ।
ময়না তদন্তের রিপোর্টে অবশ্য বলা হয়েছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে সুনীল রায়ের। এদিন সন্ধ্যায় ময়না তদন্তের রিপোর্ট সুনীল রায়ের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়েছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন সুনীল। তাঁর শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই বলেও জানানো হয়েছে রিপোর্টে। অন্যদিকে ঘটনার পর তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, সুনীল ভোট দিয়ে ফেরার সময় বিজেপি-র কর্মীরা তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন। এর ফলে পড়ে গিয়ে গুরুতর আঘাত পান ওই নেতা। এর জেরে মৃত্যু হয় তাঁর।
গোঘাটের হাটপুকুরে তৃণমূল কর্মী বুথ এজেন্ট বিকাশ রায় বলেন, ‘‘বাবা দীর্ঘদিনের তৃণমূল কর্মী। আগে একাধিকবার ওঁকে মারধর করা হয়েছে। হুমকি দেওয়া হয়েছে বিজেপির পক্ষ থেকে।’’ মঙ্গলবার ফলুই-এর একটি বুথে এজেন্ট হিসাবে কাজ করছিলেন বিকাশ। বিকাশের অভিযোগ, বাবা ভোট দিয়ে ফেরার সময় তাঁকে ঠেলে ফেলে দেয় বিজেপি-র কর্মীরা। অন্যদিকে গোঘাটের তৃণমূল প্রার্থী মানস মজুমদারের অভিযোগ, ‘‘নব্য বিজেপি যাঁরা সিপিএম ছেড়ে বিজেপি-তে গিয়েছেন, তাঁরাই এই কাজ করেছেন।’’ তবে অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। গোঘাটের বিজেপি প্রার্থী বিশ্বনাথ কারক বলেন, ‘‘একজন বয়স্ক মানুষ হার্টফেল করে মারা গিয়েছেন, তাঁকে নিয়ে রাজনীতি করছে তৃণমূল।’’