#প্রিয়ব্রত গোস্বামী, বাঁকুড়া: তৃণমূল হোক বা বিজেপি৷ দলের মধ্যে থেকেই দলের ক্ষতি করে বিভীষণের আখ্যা পেয়েছেন ছোট বড় অনেক নেতা৷ কিন্তু এবার বাস্তবের এক বিভীষণকে নিয়ে জোর টানাটানি শুরু হল তৃণমূল এবং বিজেপি-র মধ্যে৷
যে বিভীষণের কথা বলা হচ্ছে, তিনি বাঁকুড়ার চতুরডিহি গ্রামের বাসিন্দা৷ ২০২০ সালে চতুরডিহি গ্রামের বাসিন্দা বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে এসে মধ্যাহ্নভোজ সারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। মধ্যাহ্নভোজের ফাঁকে বিভীষণের অসুস্থ মেয়ে রচনা হাঁসদার চিকিৎসার সমস্ত রকম ব্যবস্থার আস্বাসও দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: 'সব জেলাকে অ্যালার্ট করছি', ২১ জুলাইয়ের আগেই বড় বার্তা তৃণমূল নেত্রী মমতার
অমিত শাহ ফিরে যেতেই বিভীষণ হাঁসদাকে নিয়ে শুরু হয় বিজেপি ও তৃনমূলের টানাপোড়েন। উভয় দলই দাবি করতে থাকে, বিভীষণ তাঁদের সমর্থক। দুই দলের নেতারাই আনাগোনা শুরু করেন বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে। বিভীষণের অসুস্থ মেয়ের চিকিৎসার বিষয়ে একদল অন্যদলের বিরুদ্ধে কিছু না করার অভিযোগ তুলে সরব হয়। উভয় দলের নেতানেত্রী ও স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিকরা মাঝেমধ্যে বিভীষণের বাড়িতে গিয়ে সাময়িক কিছু সাহায্য তুলে দিলেও বিভীষণ কন্যা রচনাকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে উন্নত চিকিৎসার প্রতিশ্রুতি আজও পূরণ হয়নি।
আরও পড়ুন: হিট সেই ডিমের ঝোল- ভাত! চেনা মেনুতেই তৃপ্তির ভোজ একুশের শিবিরে
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আদিবাসী সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে দ্রৌপদী মুর্মুকে প্রার্থী করেছে বিজেপি৷ এই বিষয়টিকে সামনে রেখেই গতকাল বিকেলে বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে উপস্থিত হন বিজেপি-র স্থানীয় নেতা, কর্মীরা৷ আগামী বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিভীষণকে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়৷ ভোটে জিতলে বিভীষণকে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান করারও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়৷ যদিও বিজেপি নেতাদের প্রস্তাবে সম্মতি না দিয়ে সময় চেয়ে নিয়েছেন বিভীষণ৷
আদিবাসী সমাজের মন জয় করতেই ফের বিজেপি কর্মীরা বিভীষণকে দলে টানার চেষ্টা করছেন বলেই মনে করা হচ্ছে৷ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অবশ্য দাবি, বিভীষণ তৃণমূলের সঙ্গেই আছেন৷ তৃণমূল নেতাদের দাবি, সহজ সরল বিভীষণকে নিয়ে নোংরা রাজনীতি করছে বিজেপি৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।