#বাঁকুড়া: একটা সময় ছিল যখন গ্রামগঞ্জের মানুষের মুখে মুখে খানেওয়ালাদের নাম লেগেই থাকতো। তবে এখনকার যুগে বেশি খাওয়ার মধ্যে কোন কৃতিত্ব নেই, বরং যে বেশি খেতে পারে তাকে সকলেই পেটুক বলে আখ্যা দেন। তবে আজ যার কথা বলব, তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গল্পের দামোদর শেঠ নন। তিনি বাঁকুড়ার হীড়বাঁধ থানার অন্তর্গত, পড়্যারডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা দুলাল চন্দ্র মুর্ম্মু। পেশায় খাতড়া মহকুমা আদালতের মুহুরী।
মধ্যবিত্ত বাড়ির মিডিয়াম চেহারার এই মানুষটি, একটা সবজি আর সাথে এক টুকরো মাছ হলেই অনায়াসে খেয়ে ফেলতে পারেন প্রায় ২ কেজি চালের ভাত। তবে হোটেল মালিকের কথা চিন্তা করে ১ কেজি চালের ভাতেই সন্তুষ্ট থাকেন তিনি। শুধু তাই নয়, অনায়াসে খেয়ে ফেলেন ৫০ টিরও অধিক মিষ্টি, ১ কেজি খাসির মাংস! প্রতিদিন বাড়ি থেকে ১৬ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে সাইকেল নিয়ে নিজের কর্মস্থলে আসেন তিনি। সারেন তাঁর দৈনন্দিন কাজকর্ম। কাজ শেষ করেই খাতড়া মহকুমা শাসকের দফতরের মোড়ের সামনে একটি হোটেলে প্রতিদিন মধ্যাহ্নভোজন করেন। আর এই হোটেলে তাঁর জন্য কেবলমাত্র ৫০ টাকাতেই পেটভর্তি খাবার দেন হোটেল মালিক।
আরও পড়ুন- 'যা সাজা দেওয়া হবে, মেনে নেব', জবানি সুতপা খুনে মূল অভিযুক্ত প্রেমিক সুশান্তরতবে, মাত্র ৫০ টাকায় এক থেকে দেড় কেজি চালের ভাত খাইয়ে লোকসানের মুখ দেখলেও দুলাল বাবুকে হাসিমুখে প্রতিদিন খাবার খাওয়ান হোটেল মালিক। হোটেল মালিক বলেন, মাত্র ৫০ টাকায় ওনাকে খাইয়ে ৩০ টাকার মতো লোকসান হলেও খুশিতেই আদর আপ্যায়ন করে হাসিমুখেই ভাত খাওয়ান তিনি।
আরও পড়ুন- এই গ্রামের ছেলে-মেয়ের সঙ্গে বিয়ে? আঁতকে ওঠে আশপাশের গ্রামবাসীরা! কারণ শুনলে হতবাক হবেনতিনি বলেন, "এখন মানুষ খুব বেশি খেতেই চায়না। উনি খান। লোকসান হলেও ওঁকে খাইয়ে আমরা আনন্দ পাই।" তবে দুলাল বাবু বলেন, তিনি প্রতিদিন প্রায় ১৬ কিলোমিটারের অধিক সাইকেল চালান, তাতে অধিক পরিশ্রম হয়। সেই কারণেই তাঁর খাবার খেতে এবং খাবার হজম হতে কোন সমস্যা হয়না। তবে বাড়িতে থাকলে বা কোন অনুষ্ঠান বাড়িতে গেলে ২ কেজি চালের ভাত খান তিনি। কোন রেকর্ড বানানোর জন্য তাঁর খাবার খাওয়া নয়।
Joyjiban Goswami
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bankura, South Bengal