#মছলন্দপুর: নমো নমো করে জল আর ফুল দিয়ে বিশ্বকর্মার পূজা হচ্ছে এবার উত্তর 24 পরগনার মছলন্দপুর বেতপুল গ্রামে। জেলায় এই এলাকাটি দর্জি পাড়া বলে জানে সবাই।মচ্ছলন্দপুর এক নং গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন এই বেতপুল গ্রামে দর্জি শিল্পে আঘাত আসে নোটবন্দীর সময়।সেই যে ব্যবসা পড়ল তার পর আর ঘুরে দাঁড়াবার সুযোগ পায়নি তারা।নোট বন্দি কাটতে না কাটতেই করোনা মহামারী করাল গ্রাসে তাদের শিল্প।
নোট বন্দী,করোনা মহামারী আর আমফানের ত্রিমুখী আক্রমণ এই ব্যবসার এক প্রকার মাজা ভেঙ্গে দিয়েছে।ক্ষুদ্র ও কুটীর শিল্পের মত ঘরে ঘরে জামা কাপড় তৈরীর ব্যবসা এখন এখানে নিভু নিভু। প্রায় শ দেড়েক ছোট থেকে বড়ো কারখানা রয়েছে ঘরে ঘরে।আগে সকলেই বিশ্বকর্মা পূজার অপেক্ষায় থাকত।পূজা বাজারের চাহিদা মত চুড়িদার গেঞ্জী, নাইটি বাড়মুডা বানিয়ে একটা অর্থিক স্বাচ্ছন্দে থাকত মালিক। বিশ্বকর্মা পূজার আগের আগের দিন থেকে প্রতি কারখানায় সাজোসাজো রব পড়ে যেত।ঘর লাগোয়া কারখানার পুজোয় জাকজমক থাকতো।কারখানার পাশে ফাঁকা জয়গায় বসত জলসা।মালিক কারিগর, শ্রমিক মিলে টানা পূজার কাজ তোলার ক্লান্তি মেটাতেন জলসার আসরে।এলাকার মাংসের দোকান কিংম্বা মদের দোকানে থাকত লম্বা লাইন।
এবার সেই বেতপুল দর্জি পাড়ায় নিয়ম রক্ষার বিশ্বকর্মার পূজা।নেই বক্সের আওয়াজ,হাঁসি ঠাট্টা। চালু গানের তীব্র কোমড় দোলানোর আহ্বান। বাজার বড়ই খারাপ।এবছরটা পুরোপুরি আলাদা। কারণ যৃকরোনা জন্য প্রতিটি কারখানায় নিয়ম রক্ষার পূজো হয়েছে।অন্যান্য বারের মতো নয় এই বারে পূজাটা।অন্য বছর গুলিতে প্রতিযোগিতা লাগতো কারখানা গুলির মধ্যে ভাল ও বড় পূজা করার।আর নিভু নিভু শিল্প আর ব্যবসাকে বাঁচাতে নম নম করে বিশ্বকর্মার আরাধনা মচ্ছলন্দপুরের বেতপুল গ্রামে।এই গ্রামের বাসিন্দা ও একটি কারখানার মালিক অভিষেক দেবনাথের কথায় এবার প্রায় সকালেই ছোট্ট প্রতিমা এনে করছে বিশ্বকর্মার পূজা।আগের বারের মত জৌলুস এবার আর নেই তাদের এলাকার বিশ্বকর্মার পূজার।সকালের মহালয়ার অসুরও তাদের কাছে এবছর বড়ই বেসুরো।
Rajarshi Roy