#বর্ধমান: বন সহায়ক নিয়োগেও টাকার খেলা! এমনই অভিযোগকে কেন্দ্র করে সরগরম পূর্ব বর্ধমান জেলা।বনসহায়ক পদে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ করা হয়েছে, টাকা নিয়ে নিয়োগের সঙ্গে যুক্ত বিভাগীয় বনআধিকারিক- এই অভিযোগ তুলে পোষ্টার পড়ল খোদ বন দফতরের বর্ধমান বিভাগীয় অফিস ও অফিস সংলগ্ন গোলাপবাগ রমনাবাগান এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
প্রতিবাদী কর্মচারিবৃন্দের নামে দেওয়া এই পোষ্টারে লেখা হয়েছে, বর্ধমানের পরীক্ষার্থীরা গর্জে উঠুন।রমনাবাগান বনবিভাগের আধিকারিক ডিএফও বনসহায়ক নিয়োগে দুই কন্ট্রাক্টরের মাধ্যমে টাকা নিয়ে নিয়োগ করেছেন।প্রমাণ স্বরূপ এক ফরেস্ট গার্ডের ভাইয়ের নামও উল্লেখ করা হয়েছে।।শুধু তাই নয়, বনসহায়কদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে পোষ্টারে।
এই বিষয়ে ডিএফও দেবাশিস শর্মা জানান, তিনি পোষ্টার পড়ার কথা জানেন। তিনি বলেন, টাকা নিয়ে নিয়োগের যে অভিযোগ উঠছে তা সত্য নয়।বন সহায়ক পদে নিয়োগ সরাসরি সার্কেল থেকে করা হয়েছে।যেহেতু তিনি অফিসের নিয়মকানুন কঠোর ভাবে মেনে চলতে অফিসের কর্মীদের বাধ্য করছেন তাই হয়তো কর্মীদের একাংশ তাঁকে হেয় করতে এই কাজ করে থাকতে পারেন বলে দেবাশিস বাবু জানিয়েছেন।
এদিকে ভোটের মুখে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর।বিজেপির অভিযোগ, তারা এতদিন ধরে টাকা নিয়ে নিয়োগের কথা বারংবার বলে এসেছে।আজ সেই কথাই সত্য বলে প্রমানিত হল। তাদের বক্তব্য, মেধা নয়, টাকার বিনিময়ে নিয়োগ হয়।এখন তো সরকারি আধিকারিকদেরও ব্যবহার করা হচ্ছে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপি ক্ষমতায় এলে এই অবস্থার পরবর্তন হবে।
ভোটের মুখে নিয়োগকে ঘিরে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ ওঠায় অস্বস্তিতে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।তৃণমূলের পাল্টা দাবি, এটা সংশ্লিষ্ট দফতরের ব্যাপার।যদি কোনও দুর্নীতি হয়ে থাকলে অবশ্যই তার তদন্ত হোক। এটা আমরাও চাই।দিদির সরকার মানবিক সরকার। যদি কোনও নাগরিক তদন্তের দাবি করেন তাহলে দিদি অবশ্যই তা দেখবেন।
Saradindu Ghosh
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।