#বর্ধমান: মানা হচ্ছে লকডাউন? বাজারে বাজারে বজায় থাকছে সামাজিক দূরত্ব? মুখে মাক্স বাঁধছেন ক্রেতা-বিক্রেতা সকলেই? সেই সব খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার সাত সকালে বর্ধমানের বাজারে বাজারে অভিযান চালালো জেলা প্রশাসনের বিশেষ টাস্ক ফোর্স। বাজার এলাকায় নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী নয়, এমন অনেক দোকান খুলেছিল গত কয়েক দিনে। আজ সে সব দোকান বন্ধ করে দেয় পুলিশ। লক ডাউন অমান্য করে দোকান খোলার অভিযোগে আটক করা হয় বিক্রেতাদের।
সাতসকালে এই অভিযানের জেরে প্রভাব পড়ে শহরে। পুলিশের ধরপাকড়ের ভয়ে অনেকেই ঘরে ঢুকতে বাধ্য হন। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশজুড়ে লকডাউন চলছে। বর্ধমানের খণ্ডঘোষ ইতিমধ্যেই দুজনের দেহে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মিলেছে। করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতলে ভর্তি হয়েছেন বেশ কয়েকজন। সামাজিক দূরত্ব বজায় না থাকলে যে কোনও সময়ে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। তা আটকাতেই বাড়তি তৎপরতা।
লগডাউনের কারণে প্রথম প্রথম বর্ধমান শহরের গৃহবন্দী ছিলেন বেশিরভাগ মানুষ। কিন্তু গত কয়েক দিনে রাস্তায় ভিড় বেড়েছে ক্রমশই। কেন্দ্র করোনামুক্ত এলাকায় দোকান খোলার কথা ঘোষণা করায় লকডাউনকে হালকা করে নিয়ে রাস্তায় বেরোনোর প্রবণতা বেড়েছিল বাসিন্দাদের। বর্ধমান শহরের অনেক এলাকায় খুলে গিয়েছিল বই খাতা কাগজ, জেরক্সের দোকা। এমনকি কাপড়ের দোকান খুলছিল দু একটি করে। অনেক জায়গায় খুলেছিল হার্ডওয়ারের দোকান। জুতো থেকে কসমেটিক্স- সব দোকান খুলতে শুরু করেছিল। সেসব দেখেই লকডাউন নিশ্চিত করতে এ দিন থেকে তৎপরতা বাড়ায় জেলা প্রশাসন। আগাম পরিকল্পনা অনুযায়ী এদিন সকাল থেকেই বাজারে বাজারে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসনের টাক্সফোর্স। ওষুধ মুদিখানা, মিষ্টির দোকান ছাড়া বাকি সব দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাজারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বেচাকেনা চালাতে বাধ্য করা হয় ক্রেতা বিক্রেতাদের। মুখে মাক্স লাগানো নিশ্চিত করা হয়। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, লক ডাউন যতদিন চলবে ততদিন তৎপর থাকবে পুলিশ প্রশাসন।