কলকাতা: শেষমেষ ১৯ দিন পর উদ্ধার করা গেল ট্যাংরার নিখোঁজ যুবক ঝুন্নু রানার দেহ। গ্রেফতার হওয়া চার অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ দেহ লোপাটের যে জায়গার সন্ধান পায়, তার থেকেও প্রায় দশ কিলোমিটার দূর থেকে উদ্ধার হয় ঝুন্নুর দেহ।
অভিযুক্তদের বয়ান অনুযায়ী, নীল রঙের একটি ড্রামে ভরে দেহটিকে ফেলা হয়েছিল বাসন্তী হাইওয়ে সংলগ্ন খালে। গত ১৭ তারিখ থেকেই দেহের খোঁজে একটানা তল্লাশি চালাচ্ছিল কলকাতা পুলিশ।
কলকাতা পুলিশের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের সার্চ অপারেশন ছাড়াও ডুবুড়ি নামিয়েও খালের জলে খোঁজা হয়েছিল নিখোঁজ যুবকের দেহ। খালের রেইকি করে নীল ড্রামটি কোথায় ভেসে যেতে পারে তার সম্ভাব্য জায়গাও দেখা হয় পুলিশের তরফে।
আরও পড়ুন- দিল্লিতে গিয়ে ধরনায় বসবেন মুখ্যমন্ত্রী! কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ মমতার
খাল ধরে সায়েন্স সিটি থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে বামনঘাটা এলাকায় খালের একটি জায়গায় কচুরিপানা ভর্তি থাকায় সেই জায়গায় দেহটি আটকে থাকতে পারে এমনটা অনুমান করা হয় পুলিশের তরফে। সেই মতো সেচ দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেই জায়গার কচুরিপানা সরানোর কাজ শুরু করা হয়।
মঙ্গলবার সকাল থেকে কচুরিপানা সরানোর সময় দেহ ভর্তি ড্রাম চোখে পড়ে পুলিশের। তৎক্ষণাৎ খবর দেওয়া হয় লালবাজারের তদন্তকারী হোমিসাইড শাখার আধিকারিকদের।
মৃতের পরিবারের লোকজনকেও নিয়ে যাওয়া হয় ঘটনাস্থলে। পচন ধরে যাওয়া দেহটি উদ্ধার করার সময় তাঁর পরনের টি সার্ট, হাতের ট্যাটু এবং এক হাতের একটি বাঁকা আঙুল দেখে দেহ সনাক্ত করেন পরিজনেরা।
দেহটি কচুরিপানার মধ্যে থেকে উদ্ধার করার পরে ড্রাম থেকে বের করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয় পুলিশের তরফে। দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে পরিবার সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন- দক্ষিণবঙ্গের চার জেলায় ঝড়-বৃষ্টির শঙ্কা, দু’ঘণ্টার মধ্যে ধেয়ে আসছে দুর্যোগ
প্রসঙ্গত, এর আগে পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়, ৩ তারিখ থেকে ঝুন্নু রানা নিখোঁজ থাকার পরেও সঠিক সময় পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি। পরে স্থানীয়রাই সিসিটিভি ফুটেজ জোগাড় করে পুলিশকে দেয়।
তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ অভিযোগ সত্ত্বেও ব্যবস্থা নিতে দেরি করে। পুলিশ তদন্ত নেমে মোট চারজনকে গ্রেফতার করে এই ঘটনায়। ময়নাতদন্তে রিপোর্ট দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে পুলিশ।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।