#এগরা: শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে যখন জল্পনা চলছেই। তিনি তৃণমূলে থাকবেন নাকি দল ছাড়বেন, এই নিয়ে যখন চর্চা অব্যাহত এবং যা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী নিজে কোনও কিছু বলছেন না। ঠিক তখনই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শুভেন্দু অনুগামীরা খুলছেন সহায়তা কেন্দ্র।
সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা শহরে শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে দাদার অনুগামী কার্যালয়ের উদ্বোধন হয়েছে। এগরা শহরে আজ দাদার অনুগামী সহয়তা কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন কণিষ্ক পাণ্ডা। সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন অনুগামী জয়ন্ত সাহু , বীরেন নায়েক সহ অন্যান্যরা।
পথ যে আলাদা হয়ে গিয়েছে তার ইঙ্গিত তো মাসখানেক আগে থেকেই মিলছে ৷ শুভেন্দু অধিকারীকে ঘিরে একের পর এক ঘটনায় বাংলার রাজনৈতিক ময়দানে ঘূর্ণিপাক একটাই প্রশ্নের ৷ কবে নিজে মুখে দলবদলের কথা ঘোষণা করবেন নন্দীগ্রামের জননেতা ৷ দলীয় পদ ও বিধায়ক পদ না ছাড়লেও একের পর এক ব্যানারহীন অরাজনৈতিক সভা, দাদার অনুগামী পোস্টারেই নিশ্চিত হয়েছে বিচ্ছেদ এখন অবশ্যম্ভাবী ৷ তৃণমূলের পার্টি অফিস থাকা সত্ত্বেও সোমবার এগরায় দাদার অনুগামীদের নতুন অফিসের উদ্বোধনই বুঝিয়ে দিল কোন পথে হাঁটতে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী ৷
রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের গিয়ে করা বেশ কয়েকটি মন্তব্যে তাঁকে ঘিরে জল্পনা আরও উস্কে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী৷ তিনি বলেন, ‘আশা করব ঈশ্বর আমাদের ২০২১ সালটা খুব ভাল দেবে, মুক্তির সাল দেবে, আনন্দের স্বাদ দেবে৷’ ২০২১ সালে রাজ্যে পরিবর্তনের ডাক দিচ্ছে বিজেপি৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারও বিদায় নেবে বলে দাবি করছে তারা৷ এর মাঝেই শুভেন্দুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য আসলে ঘুরিয়ে শাসক দলেই আক্রমণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা ৷
Sujit Bhowmik