#কলকাতা: তৃণমূলের সঙ্গে পাকাপাকিভাবে সম্পর্ক ছিন্ন করলেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রায় ২১ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করলেন তিনি। বৃহস্পতিবার দুপুরে অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে দল থেকে পদত্যাগের কথা জানিয়ে দেন শুভেন্দু অধিকারী। একই সঙ্গে চিঠি দিয়ে তিনি দলের সমস্ত পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন।
২৭ নভেম্বর রাজ্য মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করেন শুভেন্দু অধিকারী। পরিবহণ, সেচ ও জলসম্পদ দফতরের মন্ত্রী হিসাবে তিনি পদত্যাগ করেন। একই সাথে তিনি এইচ আর বি সি ও হলদিয়া ডেভলপমেন্ট বোর্ড থেকেও পদত্যাগ করেন। ১৬ ডিসেম্বর তিনি বিধায়ক হিসাবেও পদত্যাগ করেন। এবার ১৭ ডিসেম্বর দলের সাথেও সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে দিলেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, আগামী ১৯ ডিসেম্বর মেদিনীপুরে সভা করবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী তথা বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অমিত শাহ। সেখানেই শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি'তে যোগ দেবেন বলে সূত্রের খবর। তার আগে ধাপে ধাপে একের পর এক পদ থেকে অব্যাহতি টানলেন শুভেন্দু অধিকারী। ফলে আপাতত তিনি দল বিহীন রাজনীতিবিদ হিসাবেই থাকলেন। বুধবারই বিধানসভায় গিয়ে সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে আসেন শুভেন্দু অধিকারী।
কালো কালিতে লিখে নিজে সচিবের সামনে বসে জমা দেন শুভেন্দু অধিকারী। যদিও স্পিকার জানিয়েছেন, যে ভাবে পদত্যাগ পত্র দেওয়া হয়েছে তা গৃহীত করা নিয়মানুযায়ী হচ্ছে না। যদিও পাল্টা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, "সারাদেশে পদত্যাগী বিধায়কের বিধায়ক পদ খারিজ করতে ঝাঁপিয়ে পড়ে শাসক দল। আর এখানে বিদ্রোহী বিধায়কের বিধায়ক পদ বাঁচাতে মরিয়া রাজ্যের শাসক দল। এ যেন পুরো উলটপুরাণ। গোটা বিষয়টি আমি উপেক্ষা করছি। নৈতিকভাবে আমিই ঠিক। অধ্যক্ষ বড়জোর আমার সই যাচাই করার জন্যে ডাকতে পারেন আমাকে। সেক্ষেত্রে আমি যাব।" তবে সূত্রের খবর, এখনও বিধানসভা থেকে কোনও ডাক আসেনি শুভেন্দুর কাছে। এখন জল্পনা শনিবার কি করবেন শুভেন্দু অধিকারী।
আবীর ঘোষাল