নন্দীগ্রাম ভোটের আগে হাতে রয়েছে আর চারদিন। শেষ মুহূর্তে ঘুঁটি সাজাচ্ছে সব পক্ষই। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দোলের দিন থেকেই থাকবেন নন্দীগ্রামে, অন্যদিকে শেষবেলায় বারংবার আসা যাওয়া করছেন শুভেন্দু অধিকারী। তার মধ্যেই এই বিপত্তি।
এ দিন সকাল সাড়ে এগারোটা থেকেই এই ক্ষোভ-বিক্ষোভ চলতে থাকে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় আ়ড়াইটে নাগাদ। সূত্রের খবর শুভেন্দু ঢোকেনও ওই এলাকায়।
শুভেন্দু অধিকারীকে এই বিক্ষোভ প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে বলেন, ওরা পাকিস্তানি, ওরা ভারতীয় নয়। ১১ টা থেকে লড়ে ২.৩০টার পর ঢুকে প্রচার করে জয় শ্রীরাম বলে বেরিয়ে এলাম। শুভেন্দুর বক্তব্য এটা উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবেই তাঁর গতিরোধ করার চেষ্টা। তাঁর ব্যখ্যায় শুভেন্দু যতবার নন্দীগ্রামে ঢুকবেন ততবার ভোট কমবে শাসক দলের। উল্লেখ্য শুভেন্দু অধিকারী এবারের নন্দীগ্রাম ভোটে বারংবারই বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভরসা সংখ্যালঘু ভোট। এর পাল্টা তিনিও প্রাণপাত করছেন হিন্দু ভোট একজোট করতে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন এই প্রসঙ্গের অবতারণা করেন পশ্চিম মেদিনীপুরের একটি সভা থেকে। শুভেন্দুর নাম না করেই বলেন, "সংখ্যালঘুদের ভোট নিয়েই মন্ত্রী হয়েছিলেন। আজ সংখ্যালঘুদের গাল দিচ্ছে। ওদের তাড়িয়ে দিয়েছি। আমাদের সঙ্গে কিছু কালকেউটে ছিল। এরা তক্ষক ভক্ষক। রোজ মিথ্যে কথা বলে।" কাকতালীয় ভাবে তিনি এই কথা যখন বলছেন, তখনই নন্দীগ্রামে আটকে শুভেন্দু।
অবশ্য এই প্রথম নয় দিন দশেক আগেও শুভেন্দুর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ চলে নন্দীগ্রামে। সভা না করেই সেবার ফিরতে হয়েছিল শুভেন্দুকে। সেবারেও বিজেপি বলেছিল, সাধারণ মানুষ নয় তৃণমূলের একদল সমর্থক এই ঘটনা ঘটাচ্ছে।