#পূর্বস্থলী: নিজের দম থাকলে ২০০১ সালেই মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন৷ কিন্তু তা হয়নি৷ বরং নন্দীগ্রামের শবদেহের উপরে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী হতে হয়েছে৷ সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এ ভাবেই আক্রমণ করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ একই সঙ্গে নন্দীগ্রাম আন্দোলনকে জাতীয় স্তরে তুলে ধরার জন্য কৃতিত্ব দিলেন বিজেপি-কে৷
এ দিন পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের সভা থেকে নন্দীগ্রাম ইস্যুতে নিজের পুরোন দলকেই আক্রমণ করেন শুভেন্দু৷ একই সঙ্গে বিজেপি-র সঙ্গে তৃণমূলের জোটের কথাও মনে করিয়ে দেন বিজেপি নেতা৷ শুভেন্দু বলেন, '১৯৯৮ সালে লোকসভা, বিধানসভা, পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কারা ছিল? সেদিন ভারত রত্ন প্রয়াত অটলবিহারী বাজপেয়ী, লালকৃষ্ণ আডবাণীরা আশ্রয় না দিলে ২০০১ সালের আগেই তৃণমূল দলটা উঠে যেত৷' পুরোন দলকে আক্রমণ করে এরপর শুভেন্দু বলেন, 'তৃণমূল কংগ্রেস কোম্পানি, তার নেত্রীকে বলব নিজের দমে মুখ্যমন্ত্রী হলে ২০০১ সালে মুখ্যমন্ত্রী হতেন৷ আমার জন্য হয়েছেন বলব না৷ নন্দীগ্রামের ওই শবদেহগুলোর উপরে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন৷ আর যে কংগ্রেস ভেঙে তৃণমূল করেছিলেন, ২০১১ সালে সেই কংগ্রেসের সঙ্গে হাত ধরেছিলেন৷ আর বিজেপি নেতারা বলেছিলেন পদ্মে ভোট না দিলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোটটা দাও৷ কমিউনিস্ট অপশাসন শেষ করতে হবে৷ তাই ২০১১-র পরিবর্তনে বিজেপি-র ভূমিকাও ছিল৷'
নন্দীগ্রাম আন্দোলনের জন্যও বিজেপি-কে কৃতিত্ব দিয়েছেন শুভেন্দু৷ তিনি বলেন, 'অন্য কোনও দল না গেলেও অশান্ত নন্দীগ্রামে গিয়েছিলেন লালকৃষ্ণ আডবাণী, সুষমা স্বরাজ, রাজনাথ সিং-রা৷ নন্দীগ্রাম ইস্যুতে এনডিএ-এর সাংসদরাই ৬২ দিন ধরে লোকসভা, রাজ্যসভা অচল করে রেখেছিল বলেও দাবি শুভেন্দুর৷ নন্দীগ্রাম আন্দোলনকে দিল্লিতে সর্বভারতীয় আলোচনার জায়গায় যদি কেউ নিয়ে যায়, তার নাম ভারতীয় জনতা পার্টি৷ ' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিয়ে তিনি আরও বলেন, রাজনাথ সিং-এর হাতে ফলের রস খেয়েই সিঙ্গুরে অনশন ভেঙেছিলেন তৃণমূলনেত্রী৷