Supratim Das
#সিউড়ি: ৩ বছর আগে গলা থেকে সেফটিপিন বার না করেই চিকিৎসক অভিভাবকের হাতে ধরিয়ে দিয়েছিল একটি সেফটিপিন। মেয়ে সুস্থ হয়েছে ভেবে বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন অভিভাবকরা। কিন্তু তিন বছর পর গত শুক্রবার ফের নতুন করে মেয়ের নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয় । সিউড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা এক্সরে করার পর জানতে পারে গলায় ঢুকে রয়েছে সেই সেফটিপিন । ভর্তি করার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপারেশন করে বার করা হল জং ধরা ওই সেফটিপিন। করোনার আবহে যখন বিভিন্ন হাসপাতাল রেফার রোগে ভুগছে সেখানে সিউড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে এই পরিসেবা পেয়ে খুশী রোগীর পরিবার।
সিউড়ির চাঙুরিয়া গ্রামের এই হতদরিদ্র পরিবার। অষ্টম শ্রেণীর প্রতিবন্ধী ছাত্রী মৌসুমী মাহারা। গত তিন বছর আগে খেলতে খেলতে মুখে থাকা সেফটিপিন গলায় আটকে গিয়েছিল তার। দিনমজুর পরিবারের ওই মেয়েকে নিয়ে তখন সিউড়ি পুরানো হাসপাতালের এক চিকিৎসকের কাছে গেলে হাতে একটি সেফটিপিন অভিভাবকদের হাতে দিয়ে বলা হয়, গলা থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে, এমনটাই অভিযোগ মৌসুমির পরিবারের।
এরপর থেকে প্রায় সময় মৌসুমির নাক দিয়ে হালকা হালকা রক্ত বের হত। সমস্যা তৈরি হল গত শুক্রবার থেকে । মৌসুমির নাক দিয়ে বেশি পরিমাণে রক্ত বের হতে থাকে। তাকে সিউড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল নিয়ে যাওযা হলে হাসপাতালের ENT চিকিৎসক শুভেন্দু ভট্টাচার্য মৌসুমির এক্সরে করে বুঝতে পারেন তার গলার মধ্যে আটকে রয়েছে সেই সেফটিপিন। অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
অজ্ঞানের চিকিৎসক দেবজ্যোতি চক্রবর্তীর সাহায্যে রবিবার দিনই করে ফেলেন অপারেশন । মৌসুমির নাক থেকে বের করা হয় জং-ধরা গোটা সেফটিপিন। করোনার আবহে একজন রোগীকে চিকিৎসা করে খুশি চিকিৎসকরাও । অন্যদিকে করোনার আবহে এক হতদরিদ্র পরিবার সিউড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল এই পরিষেবা পেয়ে খুব খুশি ।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।