#বিশ্বজিৎ হালদার, নামখানা: ফের বাঁধ ভেঙে বিপর্যয়ের আশঙ্কায় সুন্দরবন এবং লাগোয়া দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার বিস্তীর্ণ এলাকা৷ একদিকে নিম্নচাপ, অন্যদিকে পূর্ণিমার ভরা কোটােল নদী ও সমুদ্র লাগোয়া বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা ছিল৷ সেই আশঙ্কাকে সত্যি করে নামখানা এবং কাকদ্বীপের বিভিন্ন এলাকায় নদী বাঁধে ফাটল ধরে জলও ঢুকতে শুরু করেছে৷
গতকাল থেকেই নামখানার ঈশ্বরীপুর পঞ্চায়েত এলাকায় হাতানিয়া- দোয়ানিয়া নদীর মাটির বাঁধে বড়সড় ফাটল দেখা দিয়েছে। জোয়ারের সময় জলও ঢুকছে। লোকালয়ে জল ঢোকা আটকাতে স্থানীয় বাসিন্দারা মাটির বস্তা ফেলে জল আটকানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু দুশো মিটার নদী বাঁধের অবস্থা খুবই খারাপ। জলস্তর বৃদ্ধি পেলে দুর্বল বাঁধ ভাঙার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। আজ সকাল থেকে গ্রামবাসীরা বাঁধ পাহারার কাজ শুরু করেছে। দুর্যোগ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই পাহারা চলবে। ফলে আতঙ্কিত ওই গ্রামের শতাধিক পরিবার।
আরও পড়ুন: উত্তাল দিঘার সমুদ্র! জলোচ্ছ্বাসে যা অবস্থা হল ব্যবসায়ীদের...
আমফানের পর সেচ দপ্তর এই বাঁধ মেরামতি করে। কিন্তু পরে আবার বেহাল হয়ে পড়ে। বর্তমানে জমি জটের কারণে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা যাচ্ছে নস বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। তবে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে কাকদ্বীপ মহকুমা প্রশাসন। প্রয়োজন হলে বাঁধের কাছে থাকা মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
আরও পড়ুন: মন্দারমণির সমুদ্রে স্নান করতে নেমেছিলেন যুবক-যুবতী, তারপরের পরিণতি মারাত্মক!
অন্যদিকে সাগরের বঙ্কিমনগরে পূর্ণিমার ভরা কটালে নদীর জল ঢুকতে শুরু করেছে৷ জল ঢুকতে শুরু করেছে বঙ্কিমনগরের এক নম্বর কলোনিতে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। জলস্তর আরও বৃদ্ধি পেলে পুরো এলাকাই নোনা জলে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বুধবার সকাল থেকেই প্রায় দুশো মিটার নদী বাঁধ ভেঙে নোনা জল এলাকায় ঢুকতে শুরু করেছে। এই এলাকায় কৃষিকাজ চলছিল, কিন্তু এইভাবে নোনা জল ঢুকতে থাকলে, কৃষি জমির ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান।
আগামিকাল পূর্ণিমার কোটালের জেরে মুড়িগঙ্গা নদীর জলস্তর আরও বাড়বে৷ ফলে তড়িঘড়ি প্রশাসন এই বাঁধ মেরামতির না করলে পুনরায় এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে৷ ইতিমধ্যেই সমুদ্র উত্তাল হওয়ার আশঙ্কায় সমস্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্র থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।