গরমে কাহিল সকলেই। তাপপ্রবাহে অস্বস্তিতে পশুপাখিরাও। বর্ধমান রমনাবাগান অভয়ারণ্যে বন্যপ্রানীদের এই দাবদাহে সুস্হ রাখতে বিশেষ ব্যবস্হা করেছে বন দফতর। তারা যাতে এই গরমে অসুস্থ না হয়ে পড়ে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকছেন বন দফতরের আধিকারিকরা। নিয়মিত চিকিৎসকদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে তাদের।
বর্ধমান রমনাবাগান মিনি জু-তে রয়েছে ছিয়াত্তরটি হরিণ, তিনটি ময়ূর, তিনটি এমু-সহ নানা জাতের পাখি। রয়েছে একটি ভালুক, শাবক, তিনটি লেপার্ড, তিনটি কুমীর। এছাড়াও টিয়া, কাকাতুয়া, শামুকখোল, মদনটাক তো আছেই।
আরও পড়ুন: করোনার পর মানুষের শরীরে প্রথমবার বার্ড ফ্লু-য়ের হানা! কোথায় মিলেছে আক্রান্তের খোঁজ?
লেপার্ড থেকে শুরু করে ভাল্লুক সবাইকে বারে বারে স্নান করানো হচ্ছে। অন্যান্য সময় সকাল নটা নাগাদ সবাইকে স্নান করানো হয়। এখন সকাল ছাড়াও দুপুরের স্নান করানো হচ্ছে। লেপার্ড, ভাল্লুকদের স্নানের জন্য বিশেষ এনক্লোজার রয়েছে। সেখানে তাদের ঢুকিয়ে পাইপের মাধ্যমে জল ছিটিয়ে স্নান করানো হচ্ছে।
এছাড়াও প্রত্যেককে দেওয়া হচ্ছে ওআরএস। গ্লুকোজ মেশানো জল খাওয়ানো হচ্ছে পর্যাপ্ত পরিমাণে। খাওয়ানো হচ্ছে ফ্রুট জুস। তরমুজ খাচ্ছে ভাল্লুকরা। এছাড়াও প্রতিটি এনক্লোজারে রাখা হয়েছে ফ্যান। তাপ কমাতে রয়েছে খড়ের চাল। থাকছে পর্যাপ্ত পানীয় জল। বন্যপ্রানীদের দেখভালে যুক্ত চিকিৎসকরা জানালেন, এই সময় ডিহাইড্রেশনের একটা আশঙ্কা থাকেই। শরীর থেকে জল বের হয়ে গিয়ে তারা যাতে না দুর্বল বা অসুস্থ হয়ে পড়ে তা নিশ্চিত করতে সব রকম ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
তবে প্রখর রোদের সময় হরিণরা জঙ্গলের গভীরে গাছের ছায়ায় সময় কাটাচ্ছে। সেখানে পর্যাপ্ত জল ও খাবার রাখা হচ্ছে। তিনটি কুমীরের জন্যও রয়েছে বিশেষ নজর। এই সময় জল কমে যায়। জল অত্যধিক গরমও হয়ে যায়। তাই প্রতিদিন নিয়ম করে পাম্পের সাহায্যে মাটির তলা থেকে জল তুলে জলাশয়ে ফেলা হচ্ছে। বন দফতরের আধিকারিকরা বলছেন, এ বার এখনও বৃষ্টির দেখা নেই। তার ফলে এখন গরম অনেকটাই বেশি। সে জন্যই এত সব ব্যবস্হা।
শরদিন্দু ঘোষ
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।