#কাঁথি: শুভেন্দুর হাতেই হাত রাখলেন তাঁর ভাই সৌমেন্দু। কাঁথির পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে সরানো হতেই বিজেপিতে যোগ দিলেন সৌমেন্দু অধিকারী। সঙ্গে যোগ আরও ১৪ জন বিদায়ী কাউন্সিলার। তৃণমূলের প্রতিষ্ঠাদিবসে ঘরের মাঠ থেকে তৃণমূল বিরোধিতার ঝড় তুললেন।
এই কাঁথিতেই দিন কয়েক আগে অধিকারী পরিবারকে মীরজাফর বলে দাগিয়ে গিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম। ব্যক্তিগত আক্রমণের পথই বেছে নিলেন শুভেন্দুও। বললেন, "এখানে এসেছিল খিদিরপুরকে মিনি পাকিস্তান বলা নেতা আর তোলাবাজ ভাইপোর জ্যাঠামশাই।" বিদ্যাসাগর, মাতঙ্গিনী হাজরার প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দুর যুক্তি, "মেদিনীপুরে বিশ্বাসঘাতক জন্মায় না। মানুষই সঠিক বিচার করবেন।"
শুভেন্দুর দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত এবং ঘটনাপরম্পরা রাজ্য রাজনীতিতে তিক্ততার আবহ তৈরি করেছে। শুভেন্দু বলছেন, "বানের জলে ভেসে আসা লোককে দিয়ে আমাকে গালাগাল করা হচ্ছে।"
শুভেন্দু বোঝাতে চান, তাঁর ক্ষোভের কারণ তৃণমূলের নানা সিদ্ধান্ত। তৃণমূল যখন বলছে মেরুদণ্ড বিক্রি হয়ে গিয়েছে শ্রীঅধিকারীর, তিনি আঁতাতে মিলেছেন, শুভেন্দুর আশ্বাস, তাঁর ডিল এসএসসি পরীক্ষা প্রতি বছর হবে। আয়ুস্মান ভারত, কিষান সম্মাননিধি চালু হবে। তাঁর দৃঢ় ধারণা তৃণমূল নেত্রীর দল এবার মেদিনীপুরে দ্বিতীয় স্থান পাবে কারণ তাঁর পাশে অধিকারীরা নেই।
শুভেন্দু এদিন নিজেই প্রশ্ন করে উত্তর দিতে দিতে যাচ্ছিলেন। কেন নিজস্ব দল গড়েননি, এই প্রশ্নে শুভেন্দুর যুক্তি, "আঞ্চলিক দল করলে ভাইপো মালিক হত আমি বৃদ্ধ হলে। তাই করিনি।" পাশাপাশি তিনি বলছেন, এই লড়াই ধর্মযুদ্ধ। আমরা জিতব। সংখ্যালঘুদের ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই।
ভাইয়ের দলে যোগদানের দিন এদিনও পুনরাবৃত্তি করলেন তৃণমূলের মেদিনীপুর বিজয় আখ্যান। তাঁর কথায়, "এই শহরেই বিজেপির সঙ্গে জোট করে লড়েছি, সে কথা মনে নেই! বিজেপি আর তৃণমূল তো এক পতাকাতেই লড়েছে।"