#পূর্বস্থলী: পূর্বস্থলীতে স্বমেজাজে সভা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। সভায় দিলীপ ঘোষের জায়গা হল রাজসিংহাসনে। শুভেন্দু বসলেন পাশেই, সাধারণ ডেকোরেটার্সের চেয়ারে। ছবিটা সাদামাটা, কিন্তু প্রতীকী, বলা চলে গূঢ় সংকেত বহন করছে।
শুভেন্দু অধিকারী ২১ বছরের সম্পর্ক মিটিয়ে তৃণমূলে আসার পরেই তাঁকে মীরজাফর বলতে শুরু করেছে পুরনো দল। অনেকে বলছেন, পদাধিকারের লোভেই শুভেন্দুর এই ভোলবদল। পাশাপাশি শুভেন্দুকে নিয়ে দোলাচল রয়েছে আদি বিজেপিতেও। গেরুয়া শিবিরের বহু মানুষ তৃণমূল বিরোধিতা মানে শুভেন্দু বিরোধিতাই বুঝে এসছেন দীর্ঘকাল। তাঁদের কাছে শুভেন্দুর আপাতত ভাবমূর্তি তুলে ধরার পালা। তাই শুভেন্দু মুখে যেমন বলছেন, কাজও তেমনই করছেন।
অমিত শাহের সভাতেই শুভেন্দুকে বলতে শোনা গিয়েছিল, তিনি দলে কর্মী হিসেবে যোগ দিয়েছেন, প্রয়োজনে দেওয়াল লিখবেন। আজও শুভেন্দু বলেন, 'বিধানসভায় টিকিট চাই না, নীচে থেকে কাজ করব।'
নিজেকে শৃঙ্খলাপরায়ণ সার্টিফিকেট দিয়ে শুভেন্দু আসলে বোঝাতে চাইছেন নীচ থেকে ধাপে ধাপে ওঠাই তাঁর লক্ষ্য, রাতারাতি সিংহাসন দখলের অভিপ্রায় নেই তাঁর। তাই রাজঘনিষ্ঠ হলেও কথায়, পোশাকে,চেয়ারে সেই 'তৃণ' সম স্বভাবটিকে বর্জন করছেন না তিনি। আবার বিজেপির তরফেও দলের আদি কর্মীদের একটা বার্তা দেওয়া হচ্ছে যে নিয়মের ঊর্ধ্বে নয়।
অবশ্য এ তো গেল যুক্তি। প্রথম দর্শনে কিন্তু মঞ্চের ছবিটা চোখে লাগল অনেকেই। অনেকেই প্রথম প্রতিক্রিয়ায় বলে ফেললেন, এবাবা!