#শান্তিনিকেতন: পৌষমেলা ও বসন্ত উৎসব শান্তিনিকেতনের দুটি অনুষ্ঠানই অত্যন্ত ঐতিহ্যশালী ও ঐতিহাসিক। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ যদি অনুষ্ঠানগুলি করতে অপারগ হয়, তাহলে রাজ্য সরকার উদ্যোগ নিয়ে ও তাদের তত্ত্বাবধানে এই দুটি অনুষ্ঠান পরিচালনা করুক। শান্তিনিকেতনে শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে একথাই জানালেন পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত। এই আর্জি জানিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি লিখেছেন।
এদিন তিনি বিশ্বভারতীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, পৌষমেলার মাঠের সীমানা নির্দেশ নিয়ে পরিবেশ আদালতের রায়ের ভুল ব্যাখ্যা করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেন, পরিবেশ আদালত মেলার মাঠের ডিমারকেশন করতে বলেছে, প্রাচীর দিতে বা ফেন্সিং করতে নয়। তবে ১৭ই অগাস্ট বিশ্বভারতীতে যে ঘটনা ঘটেছে তার তীব্র প্রতিবাদ করেছেন তিনি। এই বিষয়ে তিনি জানান, বিশ্বভারতী নিজের জায়গায় একটি নির্মাণ কাজ করছে। যেহেতু জায়গাটি তাদের, তা ভেঙে দেওয়ার অধিকার কারও নেই। সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে তা ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন করোনা আবহেই সরকারি হাসপাতালে সফল হল বিরল পাকস্থলী ক্যান্সারের অস্ত্রোপচার !
পাশাপাশি এদিনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে সুভাষবাবু আরও জানান, আগামীতে বিশ্বভারতীর যে প্রাচীর রীতি রয়েছে তার বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন তিনি। প্রসঙ্গত ১৫ই আগস্ট থেকে মেলার মাঠকে প্রাচীর দিয়ে ঘিরে দেওয়ার জন্য কাজ শুরু করেছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তারপরই ১৭ই আগস্ট মেলার মাঠের প্রাচীর দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে উত্তেজিত জনতা প্রাচীর নির্মাণ সামগ্রী নষ্ট করে, ভাঙচুর চালানো হয় ক্যাম্প অফিসে ও পেলোডার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় বিশ্বভারতীর একটি গেট। বিশ্বভারতীর মধ্যে এই ঘটনায় নিন্দার ঝড় ওঠে সব মহলে।
Indrajit Ruj