#মগরাহাট: মগরাহাটের ডিহিকলসের অভাবি পরিবারের ছেলে বাপি। বাবা শাহ জাহান ফকির ও মা শেরিনা বিবি দু’জনেই সেলাইয়ের কাজ করেন। ৩ বোন ও ২ ভাইয়ের মধ্যে বাপি বড়। জন্ম থেকেই বিশেষভাবে সক্ষম। অভাবের সংসারের মধ্যেও অনেক চিকিৎসককে দেখিয়েছেন বাপির বাবা-মা, কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি। হাঁটা-চলা দূরের কথা, ১৭ বছরের বাপি ফকির ঠিকমতো বসতেও পারে না, উচ্চতা ২ ফুট। দিনের অধিকাংশ সময়ই শয্যাসায়ী হয়ে কাটায় বাপি। কিন্তু পড়াশোনার অদম্য ইচ্ছা। মগরাহাটের ডিহিকলসের বাসিন্দা বাপি এববছর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। স্থানীয় কলস হাইস্কুলের পড়ুয়া। মাধ্যমিকের সিট পড়েছে বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে মগরাহাট অ্যাংলো ওরিয়েন্টাল ইনস্টিটিউটে।
আর পাঁচটা শিশু যখন স্কুলে যেত, বাড়িতে বসে আফশোস করত বাপি। মায়ের কাছে আবদার করত স্কুলে যাওয়ার জন্য। মা বুঝেছিলেন, আর পাঁচটা ছেলের মত স্বাভাবিক না হলেও, তাঁর ছেলের মধ্যে রয়েছে সাহস।সেই শুরু স্কুলে যাওয়া। প্রাথমিকের গণ্ডি পেরিয়ে হাইস্কুল। সরকারের থেকে একটি ট্রাই সাইকেল পেয়েছে বাপি, সেই সাইকেলে চাপিয়ে পরিবারের কেউ না কেউ তাকে স্কুলে পৌঁছে দিত । স্কুলের শিক্ষক ও অন্য বন্ধুরাও সাহায্য করেছে।
অভাবের সংসারে নিজের পড়াশোনার খরচ চালাতে বাড়িতে বসেই মাছ ধরার জাল বোনে বাপি। সারাদিনে রোজগার ৫০-৬০ টাকা। সেই টাকা দিয়েই কিনত বই-খাতা। বাপির প্রতিবন্ধী কার্ড আছে, কিন্তু কোনও সরকারি ভাতা বা সাহায্য সে পায়না বলে জানিয়েছে পরিবার। মায়ের আক্ষেপ, ' সরকারি ভাতা পেলে ছেলের পড়াশোনার সুবিধা হত।' মাধ্যমিক পাশ করে,আরও পড়াশুনা করতে চায় বাপি, ইচ্ছে বড় চাকরি করবের। বাবা-মা-কে অভাব থেকে ছুটি দেবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।