#নদিয়া: অশান্তির আগুন এসে পৌঁছল গঙ্গার অপর পারেও ৷ শনিবার রাতের নৌকাডুবি ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল শান্তিপুরও ৷ শনিবার রাতে নৌকা দুর্ঘটনার পরে রবিবার ভোরেও উদ্ধার কাজ ঠিক মতো শুরু না হওয়ায় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুঁড়তে শুরু করে জনতা ৷ ইটের আঘাতে শান্তিপুর থানার এক সাব ইনস্পেকটারের মাথা ফেটে যায় ৷ বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের গাড়ি লক্ষ্য করে জনতা নিজের ক্ষোভ উগরে দেয় ৷ শান্তিপুর ঘাটে দাঁড়িয়ে থাকা ছয়টি লঞ্চে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় ৷ সব মিলিয়ে চুড়ান্ত উত্তেজক ও বিশৃঙ্খলাপূর্ণ পরিস্থিতি শান্তিপুর ফেরিঘাটে ৷ উত্তেজক পরিস্থিতি সামাল দিতে ফেরিঘাটে নামানো হল র্যাফ ৷
কালনায় উদ্ধারকাজ শুরু হলেও শান্তিপুরে কেন উদ্ধারকাজ শুরু হয়নি? এই প্রশ্ন তুলে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন শান্তিপুর ঘাটে জমা হওয়া জনতা ৷ উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে রবার বুলেট ছোঁড়ে পুলিশ ৷ ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের সেল ৷ এর আগে এদিন সকালেও উদ্ধার কাজ ঠিক মতো শুরু না হওয়ায় ক্ষুব্ধ জনতা আগুন ধরিয়ে দেয় নৌকায় ৷ হামলার অভিযোগে ৩০-৩৫জনকে আটক করেছে পুলিশ ৷
উদ্ধারকাজ খতিয়ে দেখতে এদিন সকালে ফেরিঘাটে পৌঁছান রানাঘাটের SDPO ইন্দ্রজিৎ বসু, নদিয়ার অতিরিক্ত SP অজয় প্রসাদ ৷ তাদের সামনে পেয়ে নিখোঁজ যাত্রীদের আত্মীয়রা ক্ষোভে ফেটে পড়েন ৷ ডুবে যাওয়া যাত্রীদের খোঁজ পেতে কালনা ফেরিঘাটের দিকে নামানো হয়েছে ডুবুরি৷
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার কালনার ভবা পাগলার মেলা উপলক্ষে বহু মানুষ কালনায় আসেন ৷ রাতে ঘাট পেরিয়ে শান্তিপুর যাওয়ার জন্য একটি নৌকায় ওঠেন প্রায় ৭০ জন মানুষ ৷ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়ায় মাঝ গঙ্গায় উল্টে যায় নৌকাটি ৷ স্থানীয় মানুষের তৎপরতায় প্রায় ৫০ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও এখনও প্রায় ১০-১২ জন যাত্রী নিখোঁজ ৷ যদিও এই দাবি অস্বীকার করে পুলিশ জানিয়েছে, আর চার থেকে পাঁচজনকে উদ্ধার করা বাকি ৷ রাতের অন্ধকারে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না ৷ কিন্তু ভোরের আলো ফোটার পরও প্রশাসনের তরফে উদ্ধারকাজে কোনও গতি না থাকায় ক্ষোভ বাড়ে জনতার ৷ নিখোঁজ যাত্রীরা বেশিরভাগই শান্তিপুরের বাসিন্দা ৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Agitation, Boat Accident, Kalna, Police injured, Shantipur