#ময়নাগুড়ি: বাঁধ মেরামতির জন্য কোটি কোটি টাকার বরাদ্দ দরকার নেই। সামান্য ঘাসেই হতে পারে মুশকিল আসান। নদী ভাঙন তো ঠেকাবেই, বানভাসি হওয়ার সম্ভাবনাও অনেকটাই কমে যাবে। নদী ভাঙন রুখতে আশার আলো দেখাচ্ছে ভেটিবার প্রজাতির এই ঘাস। রাজ্যের দুই প্রান্তে ইতিমধ্যেই এই ঘাস ব্যবহারে সুফল মিলেছে। রাজ্যের অন্যত্রও একই পন্থা নেওয়ার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বানভাসি উত্তরবঙ্গ। জলের তলায় ৫০টিরও বেশি ব্লক। ময়নাগুড়ির সাপটিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষ কিন্তু অনেকটাই স্বস্তিতে । প্রতিবার গোটা এলাকা বন্যার জলে ভাসলেও এবার ছবিটা একেবারেই আলাদা। শৈলি নদীতে ভাঙন না হওয়ায় বন্যার জলই ঢোকেনি গ্রামে। কীভাবে সম্ভব হল ? নদীপারে লাগানো এক বিশেষ প্রজাতিক ঘাসের জন্যই ভাঙন ঠেকানো গিয়েছে।
গত বর্ষার পরই নদীপাড়ে ভেটিবার প্রজাতির ঘাস লাগানো হয় শৈলি নদীতে পাড়ে ঘাস লাগানো হয় একশো দিনের প্রকল্পে ঘাস লাগানো কাজ হয় এর জেরেই ভাঙন ঠেকান গিয়েছে
শুধু উত্তরবঙ্গ নয়, দক্ষিণবঙ্গে একই ধরণের ঘাস লাগিয়ে ফল মিলেছে। যে সব জায়গায় নদীবাঁধের অবস্থা বেশ খারাপ, সেখানেই এই ঘাস লাগায় ঘাটাল পুরসভা। এখানেও মিলেছে অপ্রত্যাশিত সাফল্য।
কীভাবে ভাঙন রুখে দিচ্ছে ভেটিবার প্রজাতির এই ঘাস।
এই ঘাসের জল শোষণ ক্ষমতা সাধারণ ঘাসের প্রায় ৭ গুণ দ্রুত শিকড় বিছিয়ে বড় এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে এই ঘাস থেকে নির্গত হয় বিশেষ ধরণের রস এতে মাটিরও জলধারণ ক্ষমতা বাড়ে জল ধাক্কা মারলেও মাটি আলগা হয় না
কোটি কোটি টাকা খরচে বাঁধ মেরামতি। অথচ বর্ষা এলেই প্রতিবার বানভাসি অবস্থা। বাঁধ থাকা বা না থাকাটা তখন যেন সমান। বহুদিনের চেনা এই ছবিটা কি নতুন উদ্ভাবনের হাত ধরে বদলাবে? তেমন সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে দ্রুত কাজ শুরুর উদ্যোগ নিচ্ছে সেচ দফতর।