#কলকাতা: ১১ জুলাই প্রথম নজর পরে পুরুলিয়া শিশু হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞের চোখে। অমানবিক নির্যাতন। সদর হাসপাতালে এক্সরে করে জানা যায় শরীরে রয়েছে সাতটি সুচ। ও দুই হাত ভাঙা। ১৪ জুলাই অভিযোগ দায়ের হয় সনাতনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পুরুলিয়া মফস্বল থানায়। লিখিত অভিযোগ করে চাইল্ড লাইনের সদস্যরা। ২১ তারিখ কলকাতায় মৃত্যু হয় শিশুটির। ২২ তারিখ গ্রেফতার হয় মঙ্গলা। এরপর ২৯ তারিখ গ্রেফতার হয় উত্তরপ্রদেশের পিপলি থেকে সনাতন ঠাকুর।
পুরুলিয়ার সুচ–কাণ্ডের তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য ৷ সুচ ফোটানোর সময় মঙ্গলা নিজেই মেয়ের হাত-পা চেপে ধরত ৷ ঠাণ্ডা মাথায় খুনের পরিকল্পনার কথা জানান সনাতন। শিশুর চিৎকারের আওয়াজ ঢাকতে তারস্বরে কীর্তন বাজত ঘরে। শুধু যৌনাঙ্গেই ঢোকানো হয়েছিল তিনটি সুচ।
৩০ তারিখ উত্তর প্রদেশের একটি আদালত থেকে ট্রানজিট রিমান্ডে ৬ দিনের আনা হয় পুরুলিয়ায়। দোসরা অগাস্ট ভোরে পুরুলিয়া পৌঁছয় সনাতন ঠাকুর। সেদিনই পুলিশ হেফাজতে যায় সনাতনকে নেয় পুরুলিয়া মফস্বল থানার পুলিশ। পুরুলিয়া জেলা আদালতে সাত দিনের পুলিশ রিমান্ডে নেয়। এরপরই চলে সনাতনকে জেরার পর জেরা। এর মাঝেই সনাতনের দুই পুত্রবধু ও এক প্রতিবেশীর গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়। এর মাঝেই উত্তরপ্রদেশ থেকে ফেরার পথে নিজেকে গায়ক ও সাধক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য গান শুনিয়ে আসে পুলিশ কর্মীদের।
জেরায় পুলিশকে প্রথমে জানান তন্ত্র সাধনার কারণেই সূচ ঢুকিয়েছেন। তা জানালেও, পুলিশের বিশ্বাস হয়নি মঙ্গলার জিজ্ঞাসাবাদের সঙ্গে মিল না হওয়ায় পুলিশ এই যুক্তি মানেনি সনাতন ঠাকুরের। এরপরেই মঙ্গলার জেরার কথা পুলিশ জানায় সনাতনকে। সনাতন ভেঙে পড়ে অবশেষে তন্ত্রসাধনার যুক্তি থেকে সরে এসে ঠাণ্ডা মাথায় খুনের পরিকল্পনার কথা জানান সনাতন। আর এই খুনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত একথাও ভোলেনি সনাতন।
সনাতনের শেষ জেরায় দুজনের বয়ান মিলে যাওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদে ইতি টানে পুলিশ। আজ পুলিশ রিমান্ডের শেষে আদালতে তোলা হলে নতুন করে চায়নি জেলা পুলিশ। আদালত সুচ কান্ডে অভিযুক্ত সনাতনকে চোদ্দো দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। জেরায় মঙ্গলা জানায় তাদের পথের কাটা এই শিশুটি। শিশু খুনের বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই সুচ বিদ্ধ করে খুনের।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bengali News, Needle injected in Purulia Child's body, Purulia, Purulia Child Death CASE