#রবীন্দ্রনগর : কলকাতার কাছেই, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার রবীন্দ্রনগর থানার কানখুলিতে বড়সড় অস্ত্র কারখানার হদিশ পেল পুলিশ। ফাঁদ পেতে অস্ত্র পাচারচক্রের ৫ পাণ্ডাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বেশিরভাগই মুঙ্গের ও ভাগলপুরের বাসিন্দা। উদ্ধার হয়েছে শতাধিক আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক। ঘটনাস্থল থেকে মিলেছে অস্ত্র তৈরির নানা সরঞ্জাম।
পাড়ার মধ্যেই রমরমিয়ে চলছিল অস্ত্র কারখানা। মুঙ্গের থেকে এসে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রবীন্দ্রনগরের কানখুলিতে বাসা বেঁধেছিল দুই অস্ত্র ব্যবসায়ী। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ফাঁদ পাতে পুলিশ। ক্রেতা সেজে হানা দেয় রবীন্দ্রনগরের ওই বাড়িতে ৷
মঙ্গলবারই মুঙ্গেরের বাসিন্দা মহম্মদ সেলিম নামে এক ব্যক্তিকে আগ্নেয়াস্ত্র ও প্রচুর মাল-মশলা সমেত গ্রেফতার করেন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের অফিসাররা। তাকে জেরা করেই ওই পাচারচক্রের মূল পাণ্ডার খোঁজ মেলে ।
অস্ত্রকাণ্ডে মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাড়ি মালিক আফতাব হোসেন ভাগলপুরের বাসিন্দা। এছাড়া, অস্ত্র বিক্রির দায়িত্বে ছিল মুঙ্গেরের বাসিন্দা সেলিম। মুঙ্গের থেকে আনা হয়েছিল আসলাম ও মহম্মদ এহতেশাম নামে দুই কারিগরকে। তাদের সঙ্গে ছিল বাসিন্দা নিমাই পুরকাইত নামে বাসন্তীর এক বাসিন্দা। ধৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বিক্ষোরক আইনে মামলা করা হয়েছে ৷
মঙ্গলবার দুপুরেই কানখুলিতে আফতাবের বাড়িতে হানা দেয় স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ ৷ দলে ছিলেন রবীন্দ্রনগর ও মহেশতলা থানার পুলিশ। উদ্ধার করা হয় ৯৫টি ওয়ান শটার, ২ টি ৯ মিমি পিস্তল ও ৪ টি পাইপ গান, ৫৪ টি কার্তুজ ও ৯ কেজি বিস্ফোরক। এছাড়াও উদ্ধার হয়েছে লেদ, ড্রিল মেশিন সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম।
পুলিশের ধারণা, মুঙ্গের থেকে এরাজ্যে সরাসরি অস্ত্র পাচারে রাস্তায় ধরা পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। তাই, কলকাতার নাকের ডগায় ব্যবসা শুরু করেছিল ধৃতরা। দেশের নানা জায়গা ছাড়াও বাংলাদেশেও এখান থেকে পাচার করা হত অস্ত্র ৷