#বর্ধমান: স্বপ্নাদেশে পুজোর সূচনা। তারপর কেটে গেছে চারশ বছর। আজও গঙ্গাধর শাস্ত্রী চৌধুরীর ন ইঞ্চির দূর্গা পুজিত হন মঙ্গলকোটের ইট্যা গ্রামে। সাত পুরুষ ধরে চলে আসছে এই পুজো। জৌলুস কমেছে কিন্তু ভক্তি শ্রদ্ধার কমতি নেই।
সময়টা সপ্তম দশক.দেবী স্বপ্নাদেশ দিলেন। সেই স্বপ্নাদেশেই বর্ধমান মহারাজার কাছে জমিদারি কিনে বীরভূমের চিতুরি গ্রামে পারি জমালেন গঙ্গাধর রায়। সঙ্গে নিয়ে এলেন তারা মা ও মহিষমর্দিনীকে মূর্তিকে। যিনি পরবর্তী সময়ে যোগদ্যা দেবী নামে লোকমুখে পরিচিত হন। মহারাজার কাছ থেকে চৌধুরী উপাধি পেয়ে গঙ্গাধর রায় মহা ধুমধামে শুরু করেন দুর্গাপুজো। সেই থেকে সাত পুরুষ ধরে চলে আসছে এই প্রথা চলে আসছে।
যোগদ্যা দেবী যেখানে থাকেন, সেখানে দুর্গামূর্তির পূজো করতে নেই। এই বিশ্বাসেই চারশ বছর ধরে আটচালার মণ্ডপে অস্টধাতুর মহিষমর্দিনীকে দুর্গারূপে বরণ করে নেওয়া হয়। যদিও সারা বছর দেবীর নিত্যসেবা করা হয়ে থাকে। পুজোর খরচ চলে দেবীর নামে উৎসর্গ করা জমি থেকে। সিংহবাহিনী এই দেবীর পাশে ছেলেমেয়েরা থাকে না। পুজোর সময় দেবীকে মাছের ভোগও উৎসর্গ করা হয়।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমে গেছে জৌলুস। তবে ভক্তি শ্রদ্ধার কমতি নেই। আজও গোটা গ্রামের মানুষের মুখে মুখে ফেরে এই পুজো ঘিরে নানান বিশ্বাস। আজও মাটির ঠাকুরদালানে ন-ইঞ্চির দূর্গাকে সামনে রেখে আনন্দে মেতে উঠেন গ্রামবসীরা।
ইতিহাসের পথ বেয়ে আজও উজ্জ্বল মঙ্গলকোটের এই জোগদ্যা পুজো। সময়ের পলি পড়লেও অলৌকিকতা ও লৌকিকতা মিলিয়ে আজও ইতিহাসের সাক্ষী মঙ্গলকোটের এই পুজো ৷