কালনায় নৌকাডুবিকাণ্ডে ১৮টি দেহ উদ্ধার

কালনায় নৌকাডুবিকাণ্ডে রাতভর উদ্ধারকাজ চালিয়ে ১২টি দেহ উদ্ধার করেছে চালায় এনডিআরএফ ৷ এদের মধ্যে ৭ জন পুরুষ ও ৫ জন মহিলা বলে জানা গিয়েছে ৷ গুপ্তিপাড়ার দিক থেকে উদ্ধার হয় ৯টি দেহ ও নদিয়ার ফুলিয়া ঘাট থেকে উদ্ধার করা হয় ১টি দেহ ৷ ডুবে যাওয়া নৌকার খোঁজে জোরকদমে চলছে তল্লাশি ৷

আরও পড়ুন...
  • Last Updated :
  • Share this:

    #নদিয়া: কালনায় নৌকাডুবিকাণ্ডে রাতভর উদ্ধারকাজ চালিয়ে ১৮টি দেহ উদ্ধার করেছে এনডিআরএফ ৷ এদের মধ্যে ৭ জন পুরুষ ও ৫ জন মহিলা বলে জানা গিয়েছে ৷ গুপ্তিপাড়ার দিক থেকে উদ্ধার হয় ৯টি দেহ ও নদিয়ার ফুলিয়া ঘাট থেকে উদ্ধার করা হয় ১টি দেহ ৷ ডুবে যাওয়া নৌকার খোঁজে জোরকদমে চলছে তল্লাশি ৷

    শনিবার রাতে ভবা পাগলার মেলায় মেতেছিল বর্ধমানের কালনা। সমান উৎসাহ ছিল গঙ্গার ওপারে, নদিয়ার শান্তিপুরেও। মেলা উপলক্ষে কালনা ফেরিঘাট ও শান্তিপুরের নৃসিংহপুর ঘাটে তখন প্রায় হাজার পনেরো মানুষের ভিড়। অথচ পাড়াপাড়ের জন্য কালনা ঘাটে ছিল মাত্র ছটি নৌকা ছিল। যার একএকটিতে উঠতে পারেন বড়জোর পঞ্চাশ জন। নৌকাগুলিতে বাড়তি যাত্রী তোলা রুখতে শক্ত দড়ি দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করে পুলিশ। তা সত্ত্বেও অতিরিক্ত যাত্রী তোলা ঠেকানো যায়নি। একএকটি নৌকায় হুড়মুড়িয়ে উঠে পড়েন শতাধিক যাত্রী।

    রাত এগারোটা দশে এমনই একটি অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই নৌকা শান্তিপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। কালনা ঘাট ছাড়তেই উলটে যায় নৌকাটি। যাত্রীদের মধ্যে মহিলা ও শিশুর সংখ্যাই বেশি ছিল। অনেকেই সাঁতরে পাড়ে এলেও, খোঁজ মেলেনি বেশ কয়েকজনের। রাতভর শুরু হয়নি উদ্ধারকাজও ৷ নৌকাডুবির জেরে সকাল থেকেই ক্ষোভ বাড়ছিল শান্তিপুরের নৃসিংহপুর ঘাটে। বেলা গড়াতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মানুষ। ঘাটে দাঁড়ানো বেশ কয়েকটি ট্রলার ও নৌকায় আগুন লাগানো হয়। নদিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও রানাঘাটের এসডিপিওকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়। তারপরই পুলিশকে লক্ষ করে ইটবৃষ্টি শুরু করেন স্থানীয়রা। ইটে ঘায়ে মাথা ফাটে শান্তিপুর থানার এএসআই ও এক কনস্টেবলের। পালটা লাঠিচার্জ করে পুলিশও। ক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেটও ব্যবহার করা হয়

    First published:

    Tags: Bengali News, Boat Drowned, ETV News Bangla, Kalna, Kalna Boat Capsize, NDRF, Rescue Operation, কালনা, নৌকাডুবি