#বর্ধমান: বস্তা সরাতেই চক্ষু চড়কগাছ! কুণ্ডলী পাকিয়ে রয়েছে বিশাল বিশাল বিষধর। তা দেখে প্রাণ বাঁচাতে তড়িঘড়ি ছুটলেন শ্রমিকরা। শনিবার সকালে এমনই ঘটনা ঘটল বর্ধমানের এক রাইসমিলে। খবর পেয়ে বন দফতরের কর্মীরা গিয়ে সাপগুলিকে উদ্ধার করে। সেগুলিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
সাত সকালে কাজে এসেই শ্রমিকদের পিলে চমকে যাওয়ার জোগাড়। ফোঁস ফোঁস গর্জনে সন্দেহ হয়। কিন্তু সে শব্দ কোন দিক থেকে আসছে বুঝতে না পেরে ছোটোছুটি শুরু করে দেন অনেকেই। তারপর জায়গা বুঝে এগিয়ে যেতেই চোখ কপালে ওঠে প্রত্যক্ষদর্শীদর। একটা দুটো নয়, ছ'খানা বিশাল বিষধর কুণ্ডলী পাকিয়ে রয়েছে এক জায়গায়।
আরও পড়ুন- নর্দমার জল ঢুকে পড়ে ঘরে! বহু বছর ধরে চলা সমস্যা থেকে মুক্তি চায় 'মন্দিরের শহর'
এদের মধ্যে তিনটি পাঁচ থেকে ছ ফুট লম্বা খরিশ গোখরো আর তিনটে ছ থেকে সাত ফুট লম্বা দাঁড়াশ সাপ। ঘটনাটি বর্ধমান-আরামবাগ রোডের বাঁকুড়া মোড়ের কাছের একটি রাইস মিলের।
রাইস মিল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে মিলের কর্মীরা কাজ করার সময় আচমকাই শুনতে পায় হিস্ হিস্ গর্জন। তড়িঘড়ি সেখান থেকে সরে এসে দূরে দাঁড়িয়ে লক্ষ্য করেন অনেকগুলো বড় বড় সাপ এক জায়গায় জড়ো হয়ে রয়েছে। যে জায়গায় সাপগুলো ছিল সেখানে রাইস মিলের প্রচুর বস্তা মজুদ করা ছিল। তারই ফাঁকে বাসা বেধেছিল গোখরো, দাঁরাশ সাপগুলো।
তড়িঘড়ি বন দপ্তরে খবর দেওয়া হলে বনবিভাগের উদ্ধারকারী দল রাইস মিলে পৌঁছে প্রায় ঘণ্টা খানেকের চেষ্টায় ছয়টি সাপ কে উদ্ধার করে। উদ্ধারকারী দলের এক সদস্য জানিয়েছেন, ওই রাইস মিলের ভিতর আরও বিষধর সাপ রয়েছে। তাদের এদিন দেখতে পাওয়া যায়নি। তাই মিল কর্তৃপক্ষ এবং কর্মী, শ্রমিকদের সতর্ক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- চুপির চর ও সংলগ্ন অঞ্চলে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা এক লাফে ১৫ হাজার বাড়ল এ বছর
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাশেই কৃষিজমি। সেখান থেকেই সাপগুলি এসে থাকতে পারে। জমিতে ফসল বাঁচাতে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। সে কারণে হয়তো সাপগুলি জমি ছেড়ে মিলের নিরাপদ আশ্রয় উঠে এসেছিল। তাছাড়া শীত ঘুমের সময় বস্তার ফাঁকের উষ্ণ আশ্রয় বেছে নিয়েছিল তারা। শীত কমতেই তাদের উপস্থিতি টের পাওয়া গিয়েছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bardhaman, Bardhaman news, Snake