#বসিরহাট: বলা চলে, সাধারণ জ্ঞানের অভাব। না হলে কেউ এই লকডাউনের মধ্যে শ্যুটিং করতে যায়। কিন্তু তাও গিয়েছিলেন একদল, সিনেমা তৈরি করতে। কিন্তু সেই শ্যুটিংয়ের সময় যা হল, তা আগে থেকে আন্দাজ করতে পারেননি কেউ।
শ্যুটিং শুরু করেছিলেন সকলে। লাইট সাউন্ড ক্যামেরা সব তৈরি ছিল। পরিচালকের মুখে ‘স্টার্ট... একশন’ শুনে আমবাগানের মধ্য দিয়ে হাঁটতে শুরু করেছিলেন অভিনেতা-অভিনেত্রী। কিন্তু সেই সময়েই হঠাৎ সেটে ঢুকে পড়লেন শ্যুটিং স্পটের আশেপাশে থাকা স্থানীয় বাসিন্দারা। মুহুর্তে সব লণ্ডভণ্ড করেদিলেন। লকডাউনে শ্যুটিং করতে এসে জনতার তাড়ায় লাইট-ক্যামেরায় সব সরঞ্জাম ফেলে পালাতে বাধ্য হল কলাকুশলীরা।
বসিরহাট গুলাইচণ্ডী গ্রামে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ কোনরকমে উত্তেজিত জনতাকে সামলায়। কিন্তু উত্তম মধ্যমের ভয়ে তখন রিল লাইফের হিরো, হিরোইন, এমনকী প্রোডাকশনের লোকেরও কোনওমতে পালিয়ে গিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন আশপাশের বাড়ির রান্নাঘর বাথরুমের মধ্যে। পুলিশ তাঁদেরই অভয় দিয়ে কোনও মতে বের করে আনলেন। না হলে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত এদিন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার কলকাতা টালিগঞ্জ এলাকা থেকে ২৫ জনের একটি দল বসিরহাট গুলাইচন্ডী গ্রামে ঘোষপাড়ায় আসে। ওই গ্রামে তাঁদের এক সপ্তাহ ধরে ‘রক্ত খাদক’, নামে শর্ট ফিল্মের শ্যুটিং করা কথা ছিল। শনিবার রাতে ও রবিবার শ্যুটিং শুরুর চেষ্টা করলে বৃষ্টিতে তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সোমবার সকালে স্থানীয় একটি আমবাগানের মধ্যে শুটিং শুরু হয়। লকডাউন উপেক্ষা করে ছবির শুটিং করতে আসার খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়ে জনতা। আর গ্রামবাসীদের সেই রণংদেহি মূর্তি দেখে শুটিং বন্ধ রেখে ভয়ে অাতঙ্কে কলাকুশলীরা যে যেদিকে পারেন পালিয়ে যান। পুলিশ গিয়ে কোনরকমে পরিস্থিতি সামাল দেয়। লকডাউন অমান্য করার অভিযোগে ২৫ জন কলাকুশলী এবং দুজন বাড়ির মালিককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।