#কলকাতা: কী বলবেন একে আপনি? বিজ্ঞান ভিত্তিক শিল্প না বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা? বৈজ্ঞানিক-শিল্পী ডঃ প্রিয়দর্শী মজুমদার জানালেন এই শিল্পের নাম পয়েন্ট ব্যালেন্সিং আর্ট| এই শিল্পের শিল্পী খুব কম সময়ের মধ্যে তাঁর সৃষ্টিকে দর্শকদের সামনে তুলে ধরতে পারেন, তাই এটি একটি পারফর্মিং আর্ট| ডঃ মজুমদারের এই বিরল শিল্পই বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়াতে ঝড় তুলেছে|
ব্যারাকপুর রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ কলেজের ইলেকট্রনিক্ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রিয়দর্শীবাবু একাধারে অধ্যাপক-বিজ্ঞানী, ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক, ছন্দের কবি, লেখক ও বিরল ভারসাম্য শিল্পী| বিজ্ঞানের বিবিধ শাখার সফল গবেষক ডঃ মজুমদার জানালেন ২০১৯ সালের শেষ দিকে ইজরায়েলের জিম প্রশিক্ষক মোহাম্মদ আল শেনবারিকে দেখেই তাঁর ব্যালেন্সিং আর্ট-এর চর্চার শুরু। বর্তমানে এই শিল্পের শিল্পী পৃথিবীতে মাত্র জনা দশেক। কী এই ভারসাম্য শিল্প?
ইটের বা পাথরের টুকরো অথবা কোনও কাচের বোতলের মুখে ছোট থেকে বড়, এক বা বহু বস্তুকে নিখুঁতভাবে দাঁড় করিয়ে দেওয়াই এই শিল্পের লক্ষ্য| বলবিদ্যার সূত্রানুসারে কোনো বস্তু বা বস্তু-সমষ্টিকে যদি একটি বিন্দুসম জায়গার উপর দাঁড় করিয়ে রাখতে হয় তবে তাদের কেবলমাত্র একটি বিশেষ কৌণিক অবস্থানে আনতেই হবে আর এই কাজটা করতে হবে বিশুদ্ধ মন আর হাতের নিয়ন্ত্রণে| অত্যন্ত শক্তিশালী মনস্তাত্ত্বিক শক্তি ও ধৈর্য ছাড়া যা সম্ভব নয়| সেই বিশেষ কৌণিক অবস্থান থেকে বিন্দুমাত্র সরে গেলেই ভারসাম্য নষ্ট হয়ে সমগ্র গঠনটিই ভেঙে পড়বে| অর্থাৎ মন আর হাতের নিয়ন্ত্রণে ভারসাম্য-বিন্দু বা ভারসাম্য-ক্ষণ এ পৌঁছাতে গেলে অতীব সূক্ষাতিসূক্ষ পরিমাপের প্রয়োজন|
প্রিয়দর্শীবাবু চোখ বন্ধ করে ও কেবলমাত্র একটি হাতের সাহায্যেও বেশ কিছু ব্যালেন্সিং করেছেন| তাঁর দাবী তিনিই পৃথিবীতে প্রথম এই ব্লাইন্ড ব্যালেন্সিং ও ওয়ান হ্যাণ্ডেড ব্যালেন্সিং আর্ট করে দেখালেন| এখনো পর্যন্ত তিনি ১৪০টির মতো ভারসাম্য শিল্প (ব্যালেন্সিং আর্ট) তৈরী করেছেন এবং ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন|
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Viral Video